মেরে ফেললেও বিচার নেই ট্রাম্পের: আদালতে আইনজীবী

0
490
blank
blank

গুলি করে কাউকে মেরে ফেললেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করার ক্ষমতা কারও নেই। একইভাবে রাষ্ট্রীয় আইনজীবীদের কাছে ট্যাক্স রিটার্ন তথা করের হিসাব দাখিল করতেও তিনি বাধ্য নন। নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে বুধবার এক শুনানিতে এসব কথা বলেন ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী উইলিয়াম কনসভয়।

তার দাবি, ট্রাম্প শত অপরাধ করলেও যে কোনো তদন্তের ঊর্ধ্বে তিনি। কনসভয়ের এই মন্তব্য গত সপ্তাহে ট্রাম্পেরই একটি বক্তব্যের প্রতিধ্বনি।

নিউইয়র্কের ফিপথ এভিনিউয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সমর্থকরা তার প্রতি এতটাই অনুগত যে, তিনি কাউকে গুলি করে হত্যা করলেও তার ভোট একটাও কমবে না।

ইউক্রেন কেলেঙ্কারির জেরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জোর অভিশংসন তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি মামলা লড়ছেন তিনি। আয়কর জমা সম্পর্কিত একটি মামলায় তদন্ত করছেন ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যান্স। এটা ট্রাম্প ও তার পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে তদন্তের অংশ।

মামলার তদন্ত থেকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষায় আইনজীবী নিয়োগ করেছেন তিনি। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট বাণিজ্যের সব আয়কর হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দেন ভ্যান্স। মামলা আটকাতে ম্যানহাটান ফেডারেল কোর্টে পাল্টা মামলা দেন ট্রাম্প।

তার বক্তব্য, একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা যায় না।

বুধবার তিন সদস্যের বিচারক প্যানেলে একই সুর তোলেন ট্রাম্পের আইনজীবী কনসভয়। বলেন, আয়কর জমার নির্দেশনার নোটিশ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভালো মনে এটা করা হয়নি। এ সময় বিচারক ডেনি চিন তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে কনসভয় বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার দায়মুক্তিও শেষ হয়ে যাবে। এর আগে তার বিচার করা যায় না।’

এদিকে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক নন এমন রাজনৈতিক নিরপেক্ষদের মধ্যেও ট্রাম্পকে অভিশংসনে সমর্থন বাড়ছে বলে রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসসের এক জরিপে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে সমর্থনের পরিমাণ ৩ শতাংশের মতো বেড়েছে; অনেক রিপাবলিকানই বিদেশি হুমকি মোকাবেলায় ট্রাম্পের পদক্ষেপে অসন্তুষ্টির কথাও বলেছেন। অক্টোবরের ১৮-২২ তারিখ পর্যন্ত চালানো এ জরিপে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন গণমাধ্যমে প্রেসিডেন্টের অভিশংসন সংক্রান্ত কংগ্রেসনাল শুনানি ও সিরিয়া থেকে

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এসব ইস্যুতে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি মানুষের অনাস্থার হারও বাড়ছে বলে জরিপে দেখা গেছে। রয়টার্স।