মেয়ের ওষুধ কিনতে গিয়ে গাড়ী চাপায় মা নিহত

0
439
blank
blank

শরীয়তপুর সংবাদদাতা: মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে গাড়ী চাপায় নাসিমা নামের এক প্রসুতির মা নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর পুরো হাসপাতাল এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার সময় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

পালং মডেল থানা ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে চরপাতাং গ্রামের সিরাজ খার মেয়ে শিখার সন্তান প্রসবের জন্য স্ত্রী নাসিমা বেগম মঙ্গলবার শরীয়তপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। দুপুর ১২টার দিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে শিখা কন্যা সন্তান প্রসব করে। মেয়ের জরুরী ওষুধ প্রয়োজন হওয়ায় শিখার মা নাসিমা বেগম বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মেয়ের জন্য ওষুধ কিনতে হাসপাতালের সামনে ফার্মেসীতে যায়। নাসিমা ঔষধ নিয়ে রোড় পার হওয়ার সময় বিপরিত দিক থেকে আসা ডিজেল চালিত একটি স্টাডিং (অবৈধ নছিমন জাতীয়) গাড়ি নাছিমাকে ধাক্কা দেয়। নাছিমা মাটিতে পড়ে গেলে গাড়ির চাঁকা নাছিমার মাথার উপরে উঠে যায়। এ সময় পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা নাছিমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় ঘাতক গাড়ী ও চালককে স্থানীয় জনতা আটক পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী হসপাতালে সামনের ব্যবসায়ী মিরচান সরদার ও বাশার দেওয়ান জানায়, রাস্তা পাড়ের সময় প্রথমে গাড়িটি মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। স্থানীয় লোকজন তেড়ে গেলে গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি টান দিলে পেছনের চাঁকা মহিলার মাথার উপরে উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়।

পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সদর হাসপাতালে সামনে অবৈধ নছিমন গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নাছিমা নামে এক মহিলাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নাছিমার মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন গাড়ি ও চালককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গাড়ি ও চালক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। যেহেতু গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর নাই এবং চাককের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই সেক্ষেত্রে পেনাল কোড এর ৩০৪ ধারায় মামলা হবে।