মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি সড়ক

0
455
blank
blank

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদী ও মনু নদের বাঁধ ভেঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ ২০টি সড়ক ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে সড়কসমূহ ভেঙ্গেচুরে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান পানির তোড়ে ভেঙে ভেসে গেছে। বিভিন্ন স্থানের পিচ ও খোয়া ওঠে ছোটবড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান প্রকৌশলী ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ সংস্কার ও মেরামতের আশ্বাস প্রদান করেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর আওতাধীন কমলগঞ্জ উপজেলার ২০টি সড়কের মোট ২ কিলোমিটার সড়ক ও কালভার্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার না করা হলে এই সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ জুন থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা মনু নদ ও ধলাই নদীর ভাঙনে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। প্রায় এক সপ্তাহজুড়ে বন্যার পানি খেতের ফসল, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর মাড়িয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যার তাণ্ডবে কমলগঞ্জ উপজেলার উপজেলা সদর, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ভেঙ্গেচুরে গেছে। ধলাই নদীর ভাঙনের কাছাকাছি অনেক সড়কের বিভিন্ন অংশ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ, খোয়া, ইট ও বালি পানির স্রোতে ভেসে গেছে। ভেঙ্গেচুরে যাওয়া অংশে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে সড়কসমূহ। সড়কের গর্ত দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্ষায় আরও একাধিকবার বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশের উজানে ভারতের কৈলাশহর ও ত্রিপুরা অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হলেই মনু নদ ও ধলাই নদীতে পানি বেড়ে বন্যা দেখা দেয়। যে কারণে ভেঙে যাওয়া সড়কসমূহের স্থায়ী মেরামত কাজ বর্ষায় করার সম্ভাবনা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক এলাকার মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তারা। বন্যায় ভাঙা সড়ক জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করতে প্রাথমিকভাবে ২ কোটি টাকা লাগবে বলে এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার-কমলগঞ্জ সদর, রামচন্দ্রপুর-সুনানন্দপুর সড়ক, কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক, আদমপুর-ভানুগাছ ভায়া ইসলামপুর-মাধবপুর সড়ক, ভান্ডারিগাঁও-চাম্পারায়-হামহাম সড়ক, আদমপুর ইউনিয়ন অফিস-আলীনগর বাজার সড়ক, চৈত্রঘাট-নয়াবাজার সড়ক, পতনঊষার ইউনিয়নের রশিদপুর আং মালিক মনা মেম্বার সড়ক।

এদিকে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ রোববার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান প্রকৌশলী ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ দ্রুত সংস্কার ও মেরামতের আশ্বাস প্রদান করেন।

এলজিইডির কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কিরণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বন্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার ২০টি সড়কের ২ কিলোমিটার সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গেচুরে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিক না করলে মানুষ চলাচল করতে পারবে না। এ কাজের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা লাগবে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করবো।