সিলেট : ঘন কুয়াশায় মোড়ানো আকাশ। আলতো হাওয়া বইছে প্রকৃতিতে। যে সময়ে থাকে কাঠ ফাটা রোদ। সেই দুপুরেও সিলেটে নেই সূর্যের আলো। ঘন কুয়াশায় সিলেটে দুপুরেও পরিলক্ষিত হচ্ছে ভোরের চিত্র। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানা গেছে, এবার শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত শনিবার রাতে। এদিন সকাল ৯টায় সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪।
তবে দুপুর ১২টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ থাকল ও বায়ুর আদ্রতা ৮৬ থাকলেও ঘন কুয়াশা কাটেনি। বরং সিলেটে শীত ঝেঁকে বসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে গত শুক্রবার দিনগত রাত থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ভোররাত ৩ টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রী। এরপর ভোর ৬টায় ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এরপর সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়। এটাই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বলেন তিনি।
সাঈদ আহমদ বলেন, সিলেটে কুয়াশার আদলে যেটা দেখা যাচ্ছে, ওটাকে মেট্টলজিক্যাল ভাষায় ‘হ্যাইজি’ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ হেউজি ভাব থাকলে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়। এরপর পরের ধাপ ‘মিসট’ হলে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে দেখা যায়। মূলত বাতাসে জলীয় বাস্প বা ধুলাকণার কারণে এটা হয়ে থাকে। আর ঘন কুয়াশা হয় বাতাসে জলীয় বাস্প বাড়ার কারণে। যেটাকে ‘ফগ’ বা ঘট কুয়াশা বলা হয়। এটা হলে ১/২ কিলোমিটারও দেখা মুশকিল। তবে হ্যাইজি ভাবটা কেটে গেলে তাপমাত্রা বাড়বে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.