যুবকদের দেহ বিক্রিতে বাধ্য করছে জার্মান পুলিশ

0
874
blank
blank

জার্মানিতে টাকার বিনিময়ে বয়সী নারীদের সঙ্গ দিতে শরণার্থী কিশোর-যুবকদের বাধ্য করছে সে দেশের পুলিশ। এর মাধ্যমে যে টাকা পাওয়া যায়, তা থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়ে থাকে তারা। বৃহস্পতিবার জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল জেডডিএফের এক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে এই ভয়াবহ তথ্য। খবর এএফপির।

‘ফ্রন্টাল ২১’ নামের ওই অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে বিশদভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে সমাজকর্মী, শরণার্থী এবং নিরাপত্তা কোম্পানিতে যারা কাজ করেন, তাদের সাক্ষ্য।

তাতে জানা গেছে, অভাবী শরণার্থী তরুণদের দেহসঙ্গ বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন একটা ব্যবসার মতো ডালপালা মেলে ছড়িয়ে পড়ছে জার্মানির বার্লিনে। এদের সঙ্গ ক্রেতা হিসেবে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা বেশিরভাগই প্রৌঢ় বয়সী জার্মান নারী। আর এভাবে অভাবী শরণার্থী তরুণদের প্ররোচিত ও প্রলোভিত করে এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করছে নিরাপত্তা কর্মীরাই।

শুধু তরুণ নয়, শরণার্থীদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরদেরও এ কাজে প্রলুব্ধ করছে পুলিশ। ১৬ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণদেরই চাহিদা বেশি সঙ্গকামী নারীর কাছে।

‘ফ্রন্টাল ২১’ অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে, নিরাপত্তা কর্মীরা সব সময় শরণার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং তাদের বোঝাতে থাকেন, এই পেশা তাদের কতটা সচ্ছলতা এনে দিতে পারে। তাদের লক্ষ্যই থাকে কম বয়সী শরণার্থীদের দিকে।

এক নিরাপত্তা কর্মী ওই অনুষ্ঠানে জানান, ‘শরণার্থীরা যদি আকর্ষণীয় এবং কম বয়স্ক হয়, অর্থাৎ ১৬ বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি, তাহলে তাদের দাম ধরা হয় সবচেয়ে বেশি।’

এ ছাড়াও তিনি জানান, এই তরুণ খদ্দেরদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ ইউরো করে নেয় নিরাপত্তা কর্মীরা।