রওশন-জিনপিং বৈঠক না হওয়ায় মর্মাহত এরশাদ

0
925
blank

ঢাকা: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের বৈঠক না হওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। তিন দিনের সফরে রংপুরে এসে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাসভবন ‘পল্লী নিবাসে’ সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিডিউল তৈরি করেছে। প্রটোকলে আমি পড়ি না। বিরোধীদলীয় নেতা তো প্রটোকলে পড়েন।’

তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার দেখা না হওয়ায় তিনি ও তার দল মর্মাহত এবং মনঃক্ষুন্ন। কেন দেখা করা যায়নি তা পরে জানতে পারবেন বলেও জানান এইচএম এরশাদ।

চীনের প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে তার সফর অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং সরকার সে বিষয়ে নিশ্চয় সচেতন থেকে কাজ করবে। এসময় বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ উল্লেখ করে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্চ কমিটি আর যাই হোক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে- এটাই মানুষের প্রত্যাশা। তা না হলে মানুষের ভোট নিয়ে হতাশা বাড়বে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিশ্বাস থাকবে না।

নির্বাচন কমিশনের বর্তমান মেয়াদকালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে এইচএম এরশাদ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার খর্ব করেছে। মানুষের ভোটের অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, ‘ভোটের প্রতি মানুষের যে আগ্রহ-আস্থা ছিল তা নষ্ট করেছে। আমরা এমন মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন চাই না। অবিলম্বে এই নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে সৎ, ত্যাগী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। এটি এখন দেশের মানুষের দাবি।’

এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে আসেন এরশাদ। পরে সড়ক পথে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে পল্লী নিবাস বাসভবনে আসেন তিনি।

এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এস এম ইয়াসীরসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।