রক্ষক যখন ভক্ষকঃ দুর্নীতিবাজ প্রিন্সিপালের যত কুকর্ম

0
828
blank
blank

সিলেট প্রতিনিধিঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের নৈশ্য প্রহরী দ্বারা নিজের পারিবারিক কাজ ও ব্যক্তিগত কাজ করানো, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অতিরিক্ত ফি আদায়, প্রতিষ্ঠানের অফিসকে কাজী অফিসে রূপান্তরসহ এতিমের টাকা আত্মসাৎ এবং দুদকেও তার নামে মামলা আছে ।

বিশ্বনাথে এলাহাবাদ (তেলিকোনা) আলিম মাদরাসা। মাদরাসাটির প্রিন্সিপাল আবু তাহির মোহাম্মদ হুসাইন। তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত হন ১৯৯৫ সালে। এরপর থেকেই শুরু হয় তার দুর্নীতির মহোৎসব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের নৈশ্য প্রহরী সাইদুর রহমান দ্বারা ব্যক্তিগত কাজ ও বিয়ে পড়ানোর কাজ করানো, তিনি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অতিরিক্ত ফি আদায় করে নিজেই সে টাকা ভোগ করছেন।

প্রতিষ্ঠানের অফিস কে কাজী অফিসে রূপান্তরিত করেছেন। প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় সরকারি ভাবে ধুমপান নিষেধ থাকা সত্তেও তিনি নিজ কক্ষে তার ব্যক্তিগত লোকজনদের নিয়ে অধিকাংশ সময়ই ধুমপানে ব্যস্ত থাকেন যা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা মেনে নিতে পারছে না । মাদ্রাসার আর্থিক সহযোগীতার নাম করে আত তাক্বওয়া ফাউন্ডেশন নামে তার তিন ভাই ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের সাধারন প্রবাসীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা চাঁদা তুলে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ৷
তার দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কোন সংস্কারমূলক কাজ এখনো সংঘটিত হয়নি৷ তিনি সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এলাহাবাদ আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং স্থানীয় ইউনিয়নের কাজী হিসেবে সরকারি দুটি পদে নিয়োজিত আছেন ৷ বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ১২-০৩-২০১৯ইং তারিখে দুদকে তার নামে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৷

এলাকাবাসী জানান, নিজের স্বার্থের জন্য তেলিকোনা থেকে নোয়াগাও রাস্তার মাটি ভরাটসহ এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে বাধার সৃষ্টি করছেন এলাহাবাদ আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল হুসাইন৷ এমনকি শিক্ষক নিয়োগের নাম করে অনেক শিক্ষকের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে ৷ এমনকি ভোক্তাদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন ৷
শুধু মাদ্রাসাই নয় বরং তার পাশের ঘড়ের এতিম ফজলু মিয়া (৩৪) ও শফিক (২৬) মিয়ার বসতবাড়ি এবং ফসলের জায়গা সম্পত্তি আত্নসাৎ করে আছেন দীর্ঘদিন থেকে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন প্রকাশ্যে দুর্নীতির মহোৎসব করেও কিভাবে বহাল আছেন এই প্রিন্সিপাল ! তার দুর্নীতি ও একনায়কতন্তের কাছে এলাকাবাসি অসহায় হয়ে পড়ছেন।