রাগীব আলীকে ফেরত পাঠাল ভারত

0
1044
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট থেকে পালিয়ে যাওয়া শিল্পপতি রাগীব আলীকে বৃহস্পতিবার ভারতে আটক করার পর বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বাংলাদেশের শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা তিনটার দিকে তাঁকে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাগীব আলীকে হস্তান্তরের সময় বিয়ানীবাজার থানা-পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল। যোগাযোগ করা হলে বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চন্দন চক্রবর্তী বলেন, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় রাগীব আলীর উল্লিখিত ঠিকানা অনুযায়ী তাঁকে বিশ্বনাথ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, রাগীব আলীর ভিসার মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। ১০ নভেম্বর তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। আজ সকালে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তিনি ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ দপ্তরে যান। তখন তাঁকে আটক করে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়। তারা বিষয়টি সিলেটের পুলিশকে জানায়। পরে তাঁকে সিলেটের বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগান জালিয়াতির মাধ্যমে দখল এবং এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দুটির বিচারকাজ চলছে। গত ১০ আগস্ট আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে ওই দিন সন্ধ্যায় পালিয়ে ভারতে চলে যান বাবা-ছেলে। ভারতের করিমগঞ্জে আবদুল হাইয়ের শ্বশুরবাড়ি। গত ১০ অক্টোবর আবদুল হাই দেশে ফেরার সময় জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
জকিগঞ্জের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্য বলেন, গত ১০ আগস্ট বাবা-ছেলে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তাঁদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছিল।