রাজনৈতিক দলের মধ্যে মধ্যস্ততা করা ইসি’র কাজ নয়: সিইসি

0
476
blank

ঢাকা: রাজনৈতিক দলের মধ্যে মধ্যস্ততা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।  তিনি বলেছেন, ‘আমোদের কারো কাছে যাওয়ার দরকার নেই। ইসি একটি স্বাধীন সত্তা। আমরা শপথ নিয়েছি- কারো চাপে নতি স্বীকার করবো না। কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবো। কারো কাছে যাবো না। বৃহস্পতিবার ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ভবনে সকাল ১০টায় সিইসির সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে টিভি, রেডিওর ২৬ জনের মত প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে অনলাইন মিডিয়ার দুজন প্রতিনিধি আমন্ত্রন জানানো হলেও তারা অংশ নেননি।
সংলাপের প্রশ্নোত্তর পর্বে সেনাবাহিনীর মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি বলেন, আর্মি থাকবে কী থাকবে না এটা ইসির সিদ্ধান্ত। যদি পরিস্থিতির বিবেচনায় মনে করি- দরকার আছে তবে থাকবে।

বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের অনুকূল রয়েছে দাবি করে নূরুল হুদা বলেন, বর্তমানে আমরা অনূকুল ও আস্থাশীল অবস্থানে রয়েছি। কেউ আমাদেরকে ডিস্টার্ব করেনি। কমিশনে কেউ তার দাবি দাওয়া নিয়ে আসেনি। আমরা এখনো পর্যন্ত আস্থাশীল আছি এবং থাকবো।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কী ধরনের সরকার থাকবে- সে ব্যাপারে কমিশনের কোন ভূমিকা নেই। ইসি একটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান। সরকার যে নির্বাচন পদ্ধতি সেট করে দেয়-সেভাবেই নির্বাচন আমাদের করতে হয়। এক সময় ছিলো ‘ইয়েস নো’ ভোট। সেই সময়কার কমিশনই ভোটই করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে পদ্ধতি ছিল তারা সেটা করেছে। কাজেই সব কিছু নির্ভর করে সরকার কোন ধরনের পরিবেশ সেট করে দেয়। এখন যে অবস্থা আছে তা যদি পরিবর্তন তা হয় তাহলে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হলে আমরা তাই করবো। আর যদি সরকার পরিবর্তন করে তাহলে সেই ভাবে হবে। কাজেই নির্বাচনের সময় কোন ধরনের সরকার থাকবে সে ব্যাপারে আমাদের কোন ভুমিকা থাকার কথা নয়। আমরা তা পারিও না।
তিনি আরো বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সংকল্প ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। কারো প্রতি আমাদের দূর্বলতা নেই বা কারো প্রতি কোন শত্রুতা নেই। আরো প্রতি কোন আর্কষণও নেই কারো প্রতি বিকর্ষণও নেই। আমাদের আকর্ষণ-বিক্রষণ যাই বলেন সেটা রয়েছে নির্বাচনী আইনের প্রতি। এজন্যই আমরা আপনাদের বিরক্ত করছি। ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাদের আমন্ত্রণ করেছি। আমরা আপনাদের সহেযোগিতা ও সমর্থন চাই।
 তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে অনেক সমস্যা ও জটিলতা রয়েছে। অন্যদেশের তুলনায় এই সমস্যা আমাদের আরো বেশি। গণতানন্ত্রিক প্রক্রিয়া ও কারণ গণতান্ত্রিক লঙ্গিজিবিটি আমাদের কম আছে। কখনো হ্যা না ভোট, কখনো নির্বাচনী সরকারের অধীনে নির্বাচন, এক ব্যক্তির অধীনে নির্বাচন-এই অবস্থা চলেছি। এক একটানা তিনটি নির্বাচন একটি নিয়মে আমরা করতে পারিনি। কাজেই সমস্যা তো আমাদের রয়েছে। সেগুলো সবাই মিলে ধারণ করতে হবে। ক্ষেত্র তৈরি করতে পারব। সে বিশ্বাস আছে।
সিইসি বলেন, আমরাতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর নির্ভরশীল একটা নির্বাচন দেখেছি। কিন্তু শেষের দিকের অবস্থা কী ছিল? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে আবেদন, শেষের দিকে সে গ্রহণযোগ্যতা ছিল? ছিল না। কারণ রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেখেন যে কোন লোক পাঁচ বছর পর রিটায়ারমেন্টে যাবেন তিনি কেয়ারটেকার গভ প্রধান হবেন। সে রকম হিসাব নিকাশ দেশে হয়নি? বলুন আপনারা হইছে কি না? যদি হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যবস্থাতো দাঁড়াতে পারেনি, সে ব্যবস্থা ধরে রাখতে পারেনি।