রাজাকারের তালিকা’র প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা ফখরুল

0
449
blank
blank

নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বাধীনতার এত বছর পরে এসে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রকৃত রাজাকারদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ তালিকা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও স্বাধীনতাবিরোধী ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৪৮ বছর পরে কী প্রয়োজন রাজাকারের তালিকা তৈরি করার? তারা বলছে এটা পাকিস্তানের তৈরি তালিকা। তাহলে পাকিস্তানের তালিকা তো এ দেশের তালিকা হবে না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকেও রাজনৈতিক পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে। প্রকৃত রাজাকারদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ তালিকা করা হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে যে স্বপ্ন ও চেতনা নিয়ে মুক্তিযু্দ্ধ হয়েছিল তা এখন সব ভেঙে গেছে। যারা জনগণের কথা বলে, বাক স্বাধীনতার কথা বলে তাদের জেলে থাকতে হয়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক দাবি করলেও তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে, একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিজয়ের দিনে আনন্দ করার কিছু নেই। আজকে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। এক ব্যক্তি, এক দল ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারলে খালেদাকে মুক্ত করা যাবে না, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

শোভাযাত্রায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

বিবজয় দিবসের এ শোভাযাত্রায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ শান্তিনগর মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেয়। পরে নয়াপল্টনে এসেই তা শেষ হয়।