রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত না পাঠাতে পারলে আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। চুক্তির একটিতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে, দুই বছরে মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার নানা তালবাহানা সৃষ্টি করে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ। জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, মায়ানমারের ১১ লক্ষাধিক নাগরিক অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের সংস্থান করা দুরুহ ব্যাপার।
তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এই সকল বাস্তুচ্যুত অধিবাসীরা স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্টিতে ভুগছে। তাদের অনেক অভাব অভিযোগ রয়েছে। এদেরকে অতিদ্রুত ফেরত না পাঠাতে পারলে আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আমরা প্রথম থেকেই একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগিরকদের ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমারে তৈরি ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পর্যব্ক্ষেণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছর আগস্টে মিয়ানমার সফর করেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার জন্য ইতোমধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে দু’দেশের সন্মতিক্রমে প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে গত বছর ২৫ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে রাজি হয়নি। ফলে ২৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি।
'বিএনপি-জামাতের সময় দেশ দুর্নীতির চক্রে নিপাতিত' সরকারি দলের সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠনের কাজ করছিলেন ঠিক সে সময়েই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে আমাদের অগ্রগতি রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২১ বছর ধরে চলে সামরিক ও স্বৈরাশাসকের লুটপাট তন্ত্র। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। এরপর দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.