রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যা-নির্যাতন গণহত্যার শামিল: জামায়াত

0
944
blank

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গুলিতে ২৫ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে নতুন এক সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, নতুন প্রকাশিত ছবিতে ‘ব্যাপকহারে ধ্বংসযজ্ঞ’ দেখা যাচ্ছে যা ‘পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি’।
এ নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যার শামিল মন্তব্য করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অন্ততঃ ২৫ জন রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা ও বহু লোককে আহত এবং শতশত ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত এ হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল।
মিয়ানমার সরকার দীর্ঘদিন থেকেই মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালিয়ে আসলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে নিরস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গুলি বর্ষণ করে তাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। আমরা উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে, মিয়ানমারের সরকার দীর্ঘদিন থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।
শফিকুর রহমান বলেন, গত প্রায় তিন যুগ আগে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়িত করে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছিল। তাদের আজ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার দেশে ফিরিয়ে নেয়নি। তারা বাংলাদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সাম্প্রতিক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪শত রোহিঙ্গা মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারাও মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল এ হত্যাযজ্ঞকে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে তা বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমার সরকার সে দেশের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার অমানবিক কাজে লিপ্ত। এ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আমি মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ঘটনার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।
বিবৃতিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সে দেশের সরকারের পরিচালিত গণহত্যা বন্ধে সোচ্চার হতে এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান।