কূটনৈতিক প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা শনাক্তকরণে মিয়ানমারের অবস্থান যৌক্তিক নয় মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, নেপিডো ১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণার ভিত্তিতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের কথা বলছে। কিন্তু ১৯৯২ সালের পরিস্থিতি ও বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোর অর্ধেকের বেশি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যে প্রক্রিয়া এখনো চলছে। তাই রাখাইনে বাড়ির অবস্থানের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পদ্ধতি বাস্তবসম্মত নয়। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত মিশন প্রধানদের (সিডিএ) দেয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এতে মিয়ানমারসহ চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ইতালি, জাপান, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, স্পেন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনস, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ভ্যাটিকান, সুইজারল্যান্ড ও নরওয়ের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে সহিংসতা এখনো বন্ধ হয়নি। রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে। জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিগত ১০ দিনে এসেছে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেয়া সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মাহমুদ আলী মানবিক এই সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশকে পাশে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।