নববর্ষে ক্যাম্পাস নিয়ে তরুণ প্রজন্মর প্রত্যাশা অনেক ভাবনা ভিন্ন।

0
575
blank
blank
মবরুর আহমদ সাজু

একটি সার্থক জীবনের প্রথম সোপান হতে পারে একটি স্বপ্ন- যে স্বপ্ন আশার পথ দেখায়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। আমাদের তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে নিয়ে। পৃথিবীতে যাঁরা বড় হবার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁদের অনেকের নাম আজ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। স্বপ্নের সঙ্গে সাধনা যোগ হলে রচিত হয় সাফল্যের গল্প। আমরা জানি, তারেক উদ্দিন তাজ কাজপ্রিয় একজন  মানুষ সাফল্যের পেছনেও রয়েছে অনেক শ্রম ও সময়ের সঙ্গে চলার অভিজ্ঞতাও। সিলেট ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভাসির্টির প্রশাসন ও  জনসংযোগ পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ কাজপ্রিয় একজন  সফল তারুণ্যর নাম ,  তরুন প্রজন্মর কারিঘর তরুন প্রজন্মের একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব। অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে  সাফল্যের উচ্চশিখরে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভাসির্টির প্রশাসন ও  জনসংযোগ পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত সময়ের ধারাবাহিতায় আজ শিক্ষা গবেষণা নিয়ে নববর্ষে তরুণ প্রজন্মর প্রত্যাশা অনেক ভাবনা ভিন্নblank। আামাদের এই ব্যক্রিমধর্মী আয়োজনে  কথা বলছেন  তিনি।

স্কুল থেকেই সবাই স্বপ্ন দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।  বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে মেধার স্বাক্ষর রেখে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নতুন শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে থাকে স্বপ্ন আর প্রত্যয়ের ছাপ। সেই প্রত্যয় কে অভিজ্ঞতা দিয়ে সাড়াশি অভিযানের কথায় কথায় তিনি বলছেন সুজনশীল কথা। সবমিলিয়ে বাংলা নববর্ষের এমন নতুন বছরে তরুন প্রজন্মর প্রত্যাশা জানালেন আজকের এক তরুন প্রজন্ম তিনি হলেন সিলেট ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভাসির্টির প্রশাসন ও  জনসংযোগ পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ ক্যাম্পাসে শিক্ষা গবেষণা নিয়ে নববর্ষে  জানালেন স্বপ্ন  সম্ভাবনার  কথা। কথা গুলো লিখেছেন   আমাদের প্রতিবেদক  মবরুর আহমদ সাজু   দিনবদলের চিন্তা চেতনায় সাড়া দেশ যখন আলোয় আলোয় মুখরিত।  তেমনি সেই নবীন আলোয় নতুন বছরের  নবপ্রেরনায় নতুন প্রত্যাশার কথা জানাতে দ্বিধাবোধ করেননি  এ প্রজন্মর  শিক্ষা আন্দোলনের উদিয়মান তারকা

 

স্বপ্নের রাজ্যে স্বাগতম কিভাবে দেখবেন:

তারেক উদ্দিন তাজ                       :blank

 শিক্ষা গবেষণা ক্যাম্পাস নিয়ে তিনি বললেন অপার সম্ভাবনার কথা  প্রথমেই তিনি অকপটে বলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিলেটবাসীর স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার পেছনে বিশেষ অবদান রয়েছে সিলেট তথা বাংলাদেশ শিক্ষা আন্দোলনের স্বপ্ন দ্রষ্টা ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শামীম রহমান যার চিন্তা চেতনায় ক্যাম্পাসে তরুণপ্রজন্মর মধ্য উৎসাহ উদ্দিপনায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেট তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে । আধুনিক পৃথিবীর অগ্রযাত্রার মূল ভূমিকা রাখছে তথ্যপ্রযুক্তি। যার ঢেউ আছড়ে পড়েছে আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের মাঝেও। আর সেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষায় প্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি
  শিক্ষাকে নতুন প্রজন্মের কাছে অপেক্ষাকৃত  সাবলীল ও নান্দনিক রূপে তুলে ধরতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের অলীক স্বপ্ন নিয়ে কথার সম্ভার জানালেন  কালপটে , তার নাান্দনিক কথায় উটে এসেছে অনেক অজানা কাহিনী। প্রথমেই তিনি বলেন মানুষ বড় হয় তার স্বপ্নের সমান  ছোট ছোট ভাবনা, ছোট ছোট স্বপ্ন আর ছোট ছোট কাজের সমষ্টিই জীবন। প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্বপ্ন প্রভাবিত করে জীবনকে।এই জীবনের চলার পথে মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখে। আসলে স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। বলা হয়, স্বপ্ন সাধারণত দুই রকমের হয়। যার একটি হলো স্বাভাবিক স্বপ্ন, যা আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, এই স্বপ্নের কোন মানেই থাকে না। আরেক ধরনের স্বপ্ন আছে, যা স্বপ্ন বা মনছবি অথবা আমরা বলতে পারি ‘জীবন ছবি’। আর এটা হলো বড় হওয়ার স্বপ্ন, জীবনে একটা কিছু করার স্বপ্ন। এই স্বপ্নই আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন:- ডাক্তার, লেখক, ব্যবসায়ী, গায়ক, নায়ক, শিক্ষক ইত্যাদি হওয়ার স্বপ্ন শিক্ষার্থীদের কে ভালোবাসা ও সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরনা দেয়া দিয়ে তার দিনের সুচনা হয়। অবশ্য তারুণ্য নিয়ে একটু আলাদা করে ভাবেন তিনি । নতুন বছরের প্রত্যাশার কথা তারেক মনে করেন জীবন মানে কাহিনীর সমাবেশ জীবনটা বড্ড অদ্ভুত কাল বা সময় নিরবধি সময় কখন যে শুরু হয়ে ছিল যেমন তা কেউ জানে না ।তেমনি সময় যে কখন শেষ হয় তার খবর সময়ে এস ডাক দিয়ে যায় ।যখন শেষ সময় এসে যায় তখন চলে হিসাব নিকাস ।আধুনিক জীবনে নানা উপাচারের সমারোহে খেরোখাতায় হিসাব রাখার প্রচলন এখন উঠেই গেছে। কালের বিবর্তনে নববর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক পুরনো আচার অনুষ্ঠানের বিলুপ্তি ঘটেছে, আবার যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন আয়োজন। কয়েক যুগথেকে তরুন প্রজন্মর কাছে  বাংলা নববর্ষের নতুন বছর একটি  জনপ্রিয় শুদ্ধ শব্দ প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার  কথা শুনালেন তার  আলোর বান তে । বসন্তের জীর্ণ বেড়াজাল সরিয়ে যে সূর্য উদিত হয়েছে সকালে, তা এক নতুন আলোর খবর  আশা করি ইতিহাসের সন্ধানে এ বছর ভালো যাবে তিনি বলেন ঘাসের ডগায়, ফসলের গায়ে জমে থাকা শিশির বিন্দুর ওপর নতুন সূর্যের আলো হিরকদ্যুতি হয়ে দেখা দিয়েছে দিকে দিকে। নতুনের ছোঁয়ায় জেগে উঠেছে নব নব প্রাণ। আর এ বছরটি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে আমাদের জীবনেরÑ এমনি প্রত্যাশা  আলোর পাবনে ভেসে যাক দিগ্বিক দিকে নতুন ভোরে, নতুন দিনে আর মহাকালের নতুন যাত্রায় এটাই আমাদের প্রেরনা। তারেক উদ্দিন তাজ  মনে করেন, চিন্তাশীল জগতে চিন্তাশীল মানুষের আবির্ভাব হয়। আর সমাজ সচেতন দেশে সমাজ সচেতন মানুষ জন্ম নেয়। সর্বকালের সব মানুষ সব সময় শান্তিপ্রিয় হতে চায় সুতরাং শান্তি মানব জগতের চিরকালের
blankকাম্য, সেই জন্য মানুষ সংঘবদ্ধভাবে সুখ-সাচ্ছন্দ্য নিয়ে উভয়ের পাশে মাথা উঁচু পাহাড়ের মত করে দাঁড়াতে ইচ্ছুক, শান্তিশীল জগতের শান্তিশীল বিবেকবর্গ প্রতিজন জ্ঞানীগুণি মানুষ উশৃঙ্খলকে সমূলে উৎপাটন করে শান্তির পতাকা উড়াতে বদ্ধপরিকর, আর এজন্য মহান কোন নতুন শুভ দিন এলে মনের আঙ্গিনায় এক পলক সূর্য এসে কিরণ বিকিরণ করে যায়। ফলে যুদ্ধকালের উৎসাহব্যঞ্জক গানের কলিগুলো ফুটতে থাকে।‘‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে/প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে/ও আমার দেশ/ ও আমার বাংলাদেশ বুদ্ধিজীবিরা ৭১’র পূর্বে ৫২’র ভাষা আন্দোলনেই আমাদের দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে প্রথম পরিচিত হয় প্রথম যে দেশ তার নাম চির সবুজ বাংলাদেশ। আজ আমরা বুঝতে শিখেছি মুক্তিযুদ্ধারাই আমাদের মা-বোনের মুখে সুন্দর হাসি ফুটানোর জন্য দেশের পক্ষে সর্বদা কথা বলেছিলেন। ৭১’র  যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলবদর এর বিচার পেয়েছি,যাদের বিচার হয় নি তাদের বিচার হোক এমন প্রত্যাশায় তিনি বলেন আজকের তরুন প্রজন্মরা ঘড়ির কাটা অবিরাম ঘুরে পর আবার এসেছে প্রাণের শুভদিন নতুন বছর। এই শুভদিনটিকে ঘিরে আছে গণমানুষের প্রাণের প্রত্যাশা। যেমন আমরা শপথ নিতে ভুলবো না, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে কিংবা আরো কত কিছু। তবে চলিত জীবনে সব সময় যে প্রত্যাশাটা মনে প্রাণে জাগে সেটা হচ্ছে ৭১’র ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার? সেটা কেবল আমাদের মত তরুন প্রজন্মের না  সমগ্র বিশ্বের তরুন প্রজন্মের এবং তা সময়ের দাবি? নতুন বছরের আনন্দে বলাযায় এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি। জয় হোক মানবতার,
জীবনে সফল হতে গেলে কী করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক বলেন
সফলতা জীবনে খুব মানুষেরই আসে। যারা কঠোর পরিশ্রমী এবং উদ্যোগী মনোভাবাপন্ন রয়েছেন জীবনে একমাত্র তারাই সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। জীবনে সফল হতে কে না চায়। আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার ভাগ্য সেই ছোটবেলা থেকেই অনেক খারাপ। বয়সের এ পর্যন্ত কোনো সফলতাই আপনার জীবনে আসে নি। এজন্য জীবনে সফল হওয়ার হাল হয়তো ছেড়েই দিয়েছেন
কাজটিকে ভালোবাসতে হবে, কারণের চেয়ে কার্যের গুরুত্ব বেশি হতে হবে কি বলবেন?
 তারেক :সফলতা আনতে চাইলে নিজেকে সবসময় সৃজনশীল কিছু ভূমিকা রাখতে হয়। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা না থাকলে সফলতা সম্ভব নয়। আপনার কাজে নতুন নতুন কিছু ধারণা প্রয়োগ করবেন। এতে কাজে নতুনত্ব আসবে। কিন্তু এটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ধরনের নতুন বিষয়গুলো সবার দৃষ্টিগোচর হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। তবে এটা কোনোই বিষয় না। কারণ ধৈর্য ধরলে ভালো ফলাফল আসতে বাধ্য।
ভালো হতে গেলে আর কি করা উচিৎ
তারেক: আপনি যে কারণে কাজটি করছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে আপনার কাজের উপরে গুরুত্ব দিতে হবে বেশি।
 আপনি হয়ত অনেক কারণেই কাজটি করতে পারেন। হতে পাওে এটি প্রয়োজনীয়তা থেকে বা অন্য কিছু থেকে। এগুলো সম্পর্কে চিন্তা না করে বেশি করে ভাবুন আপনার কাজটি ভালো হচ্ছে কি না। বা । এই বিষয়ে খেয়াল রাখলে দেখবেন আপনার কাজটি অন্যান্য সবার থেকে অনেক বেশি ভালো হচ্ছে। ফলে সফলতা আসতে বাধ্য। মনে রাখা উচিত মানুষ তার আশার সমান সুন্দর ও বিশ্বাসের সমান বড় হতে পারে। প্রত্যেকের হৃদয়ে একজন মানুষ বসবাস করে। সে কথা বলে, আত্মনিমগ্ন হয়ে কান পাতলে তার কথা শোনা যায়। সে যা বলে ঠিক সে অনুযায়ী কাজ করলেই জীবনে সফল হওয়া যায়, বড় কিছু করা যায়। কারণ সেখানে আমি বা আপনি সম্পূর্ণ একা।আপনার বা আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই। একেবারে রাজার মত একা। রাজা নিঃসঙ্গ, কারণ একই সিংহাসনে একসাথে দুইজন বসতে পারেন না। দুই হাজার মাইল হিমালয় পর্বতমালায় হয়তো কোটি কোটি লোকের জায়গা হতে পারে। কিন্তু শৃঙ্গের সর্বোচ্চ শিখরে দুইজন লোক এক সাথে আরোহণ করতে পারে না। একজনকে আগে উঠতে হয়। এজন্য তেনজিং এবং হিলারি এক সাথে শিখরে আরোহণ করতে পারেননি। তেনজিং আগে উঠার কারণে সর্বপ্রথম এভারেষ্ট শৃঙ্গ আরোহণকারী হিসেবে এক নম্বারে তেনজিং এর নাম চলে এসেছে সবসময় ভালো ধারণাই নেয়া উচিৎ, কিন্তু বিষয়টি মানুষের বুঝতে বেশ কয়েক বছরই সময় লেগে যায়
মবরুর আহমদ সাজু: আপনাকে ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য
তারেক: আপনাকে ও ধন্যবাদ শুভহোক বাংলা নববর্ষ ধন্যবাদ