শৃঙ্খলাবিধির গেজেটে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি

0
567
blank
blank

অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির সরকারের প্রণয়ন করা গেজেট সর্বসম্মতিভাবে গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ গেজেট গ্রহণ করেন।

এ সময় আদালত বলেন, সরকারের প্রণয়নকৃত গেজেটে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ওপর আমাদের (সুপ্রিম কোর্টের) কর্তৃত্ব বজায় রয়েছে। শৃঙ্খলাবিধির গেজেটে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ হয় গত ১১ ডিসেম্বর। প্রকাশিত ওই গেজেটের বিষয়ে আদালতে বুধবার শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনালের মাহবুবে আলম, বারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম ও মনজিল মোরসেদ।

দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ওই গেজেট গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশ করে সরকার। মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেন।

ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্হিও বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়।

ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্নআদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়াবিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

এর পর ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলাবিধি-সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।