শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের জনতার ঢল

0
847
blank
blank

ঢাকা: মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে। কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস উপেক্ষা করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকে মহাসড়কের পাশে অপেক্ষা করতে থাকেন সর্বস্তরের মানুষ। আজ বুধবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের কর্মসূচি। সকাল ৬টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসেন বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান শ্রদ্ধা জানাতে এসে বলেন, শীতের সকালের ঘুমটা সবারই কাছে প্রিয়। তবে তার থেকে বেশি প্রিয় বিজয়ের সকাল। স্কুল ও কলেজে শহীদ মিনারে ফুল দিতাম, আজ স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে পেরে ভালো লাগছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ৩০ জন সদস্য ফুল দিতে এসেছেন স্মৃতিসৌধে।

বিআইসিএম-এর কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল ওয়ারিশ বলেন, আজকের দিনটি বাঙালি জাতির স্মরণীয় দিন, এটি একটি গৌরবের দিন। যতদিন বাঁচবো এই দিনটা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবো। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দেশ আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রমাণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তান যে মিথ্যাচার করেছে সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান আবু ওসমান চৌধুরী শ্রদ্ধা জানাতে এসে বাংলানিউজকে বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যাচার করছে। এই মিথ্যাচারের জন্য শুধু প্রতিবাদ করলেই হবে না। তাদের সঙ্গে শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য ও সাংস্কৃতি সম্পর্কসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।