ষোড়শ সংশোধনীর রায় পূর্বপরিকল্পিত: খায়রুল হক

0
516
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া আপিল বিভাগের রায়ে জাতীয় সংসদকে অপরিপক্ক বলা ঠিক হয়নি মন্তব্য করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বুধবার রাজধানীর আইন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

খায়রুল হক বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে মূল বিষয়কে এড়িয়ে অযাচিত অনেক বিষয় টেনে আনা হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়টি অপরিপক্ক, পূর্বপরিকল্পিত ও অগণতান্ত্রিক।

সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে গণপ্রজাতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই রায় দেশকে বিচারিক প্রজাতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে মার্শাল ল’ আমলে চলে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে এবং সংসদ সদস্যদের হেয় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খায়রুল হক বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সংবিধানের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনতে হলে আবারও সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধানে যেহেতু সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ছিল না, সেহেতু এটা রাখা সংবিধান পরিপন্থী।

এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, সংসদ সদস্যরা ভুল করলে সুপ্রিম কোর্ট দেখে সংশোধন করবেন। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট (বিচারপতিরা) ভুল করলে আমরা যাব কোথায়?

সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেন, যেখানে দুদককে চিঠি দিয়ে সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়, সেখানে তাদের ওপর (সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্য বিচারপতিদের) নির্ভর করবো কিভাবে?

খায়রুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি কি প্রধান শিক্ষক, আর অন্য বিচারপতিরা ছাত্র নাকি যে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে (প্রধান বিচারপতি) অন্য বিচারপতিদের পরিচালনা করতে হবে? সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে তো বিচারপতিরা সবাই স্বাধীন।