সঙ্কট উত্তরণে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

0
937
blank

ঢাকা: আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে এর সফলতা কামনা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান। বিএনপি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আমরা আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ পেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। তাদের এই সম্মেলনকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, তাদের এই সম্মেলন সফল হবে। একই সঙ্গে এটা আশা করি, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনবার জন্যে তারা তাদের ভুমিকা পালন করবেন। বিএনপি শুধু নয়, দেশের মানুষের একটাই প্রত্যাশা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব উপযুক্ত ভুমিকা পালন করবে।

থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভুমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকালে বারিধারার থাই দূতাবাসে শোকবইতে স্বাক্ষর করার পর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ আওয়ামী লীগের যেরকম অতীত ভুমিকা রয়েছে যে, তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আবার দুর্ভাগ্য হচ্ছে, তাদের হাতেই বার বার গণতন্ত্র আহত হয়েছে, বিঘ্ন হয়েছে এবং গণতন্ত্র পরাজিত হয়েছে। বর্তমান সংকট সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে এ থেকে উত্তরণে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন. ‘‘ দেশে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, যে সংকট তৈরি হয়েছে, এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যেহেত আওয়ামী লীগ এখন সরকারে আছে, উদ্যোগটা তাদেরকেই গ্রহন করা উচিৎ। দেশকে আবার গণতন্ত্রে ফিরিয়ে নিয়ে আনা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া- এই দায়িত্বটা তাদেরই পালন করা উচিৎ। আমরা আশা করব, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) সেই লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন জাক-জমকপূর্ণভাবে করা হচ্ছে, বিএনপিকে যেভাবে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সম্মেলন করতে দেয়া হয়নি- এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সমর্থ অনুযায়ী, পরিবেশ অনুযায়ী তাদের সম্মেলন ও কার্য্ক্রম করবেন। বিএনপি তো দীর্ঘকাল ধরে অভিযোগ করে আসছে, বিএনপিকে শুধূ নয়, বিরোধী দলকে কোনো গণতান্ত্রিক পরিসর বা স্পেস দেয়া হচ্ছে না। শুধু সভা-সমাবেশের ব্যাপারেই নয়, সব ক্ষেত্রেই এখন গণতন্ত্র সংকুচিত শুধু নয়, গণতন্ত্র প্রায় নির্বাসিত হয়ে গেছে। সেই কারণে আমরা মনে করি যে, আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য যে কাজটি করছে, সেই কাজটি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে করার সুযোগ দেবে-এটাই আমরা আশা করি।