সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বৃটেন

0
781
blank
blank

কূটনৈতিক রিপোর্টার: সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে আগ্রহী বৃটেন। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার  অ্যালিসন ব্লেইক কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির সঙ্গে মতবিনিময়ে গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন। বৃটিশ দূত বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় সফরকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন, মুক্ত গণমাধ্যম এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে গেছেন। বৃটেন অন্তর্ভুক্তি, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জানিয়ে অ্যালিসন ব্লেইক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। বৃটেন মনে করে এটি কেবল নির্বাচনের দিনে নয়, গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়াই শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। বৃটিশ দূতের প্রত্যাশা- শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াই অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু সর্বোপরি একটি ভালো অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে।

নির্বাচনের আগে সমস্যাগুলোর সমাধানে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি পন্থা (পিসফুল ওয়ে ফরওয়ার্ড) খুঁজে নিতে কমনওয়েলথ, ইইউ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহযোগীদের নিয়ে বৃটেন বাংলাদেশকে উৎসাহ দিয়ে যাবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকালে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর ফ্লাগশিপ ওই প্রোগ্রামে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ছাড়াও ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক, বেক্সিট, রোহিঙ্গা সংকট, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গুপ্তচর হত্যা, রাশিয়ার সঙ্গে বৃটেনসহ পশ্চিমা দুনিয়ার টানাপড়েন ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন তিনি। লিখিত বক্তৃতা ছাড়াও উপস্থিত কূটনৈতিক রিপোর্টারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিক। তিনি সাফ জানিয়ে দেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৃটেন হস্তক্ষেপ করবে না। এখানকার রাজনীতি বা নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও তারা কোনো পূর্বানুমান করবে না। এটি একান্তই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিদ্ধান্ত। এখানে তৃতীয় পক্ষের কোনো মধ্যস্থতাও কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে বৃটিশ দূত বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু-উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে উৎসাহ যোগাতে পারি। কিন্তু সমাধান দেশবাসীকেই করতে হবে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ এবং এর মধ্য দিয়ে সংকটের একটি সমাধানের পথ দেশবাসীই খুঁজে নেবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। বিরোধীরাও সরকারের কাছে যেতে পারেন, দেশবাসীর উদ্দেশ্যেও বলতে পারেন। ডিকাব সভাপতি  রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিশু ছাড়াও নিয়মিত কূটনৈ তিক বিট কভার করা রিপোর্টাররা আলোচনায় অংশ নেন।