সরকারই অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়: রিজভী

0
1043
blank

ঢাকা: কখন কি ঘটে যায়-এই আশঙ্কায় সরকার সবসময় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি যেসব ভিন্নমত পোষণকারীরা উগ্রবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন, তাদের নিয়ে সরকার প্রধান ও সরকারি লোকজনদের বক্তব্য ও রহস্যজনক। জনমনে এখন স্পষ্ট হচ্ছে যে- এসব হত্যাকাণ্ড সরকারের অগোচরে হচ্ছে না। কারণ সরকার তার অবৈধ সত্ত্বা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কখন কি ঘটে যায়-এই আশঙ্কায় সরকার সবসময় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। কারণ নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীলতা সরকারের টিকে থাকার গ্যারান্টি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন,  বাংলাদেশ আগে ছিল অবিরল বৃষ্টিধারার দেশ, কিন্তু এখন হয়েছে অবিরল রক্তধারার দেশ। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রক্তধারা বৃষ্টিধারার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে গোটা জাতিকে জিম্মি করতে গিয়ে যে সহিংস সন্ত্রাস কাঠামো নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা সেজন্য। তিনি বলেন,  এখন ক্ষমতাসীন রাঘব-বোয়ালরা গোটা দেশটাকেই গিলে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন অবৈধ, সেইজন্য তিনি জনগণকে শত্রুজ্ঞান করেন। আর সেই কারনেই শত্রু নিধনে (সাধারণ নিরীহ জনগণ) তিনি সবচাইতে পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন, হত্যা, গুপ্তহত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে। এই পবিত্র রমজান মাসেই প্রধানমন্ত্রী যেভাবে জঙ্গি দমনের নামে পুলিশি অভিযান চালাতে গিয়ে নিপীড়ণ ও রক্তাক্ত পথ অবলম্বন করেছেন তার উদাহরণ তিনি নিজেই।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে  তিনি বলেন, আপনি যে কর্মকাণ্ডই করুন না কেন মানুষ সেটি বিশ্বাস করে না।  দেশের যে কোন হত্যাকাণ্ডে  আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে বিজ্ঞপ্তি দেয়, সেটিও মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ জনগণ মনে করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বিবৃতি দেয়। যে কারণে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদসহ দেশের যেকোন হত্যাকাণ্ডে সরকারি বক্তব্যকে মানুষ মনে করে এটি একটি ধু¤্রজাল সৃষ্টি করা। বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, সারা দেশে বছরব্যাপী যে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে তার কোনটির সুনির্দিষ্টভাবে কোন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি সরকার। প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডই এখনও পর্যন্ত রহস্যঘেরা। এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য দেশে বিদেশে কারো কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। দেশব্যাপী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক প্রায় পনের হাজারের অধিক মানুষকে গ্রেফতার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে বেশ কয়েকজনকে জঙ্গী হিসেবে হত্যা করার পরও সবুজবাগে বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকি কিভাবে এলো তা জনগণ জানতে চায়। রাজধানীর সবুজবাগে বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকিতে  বিএনপি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সরকারের রহস্যজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে উক্ত বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রধানকে যথাযথ নিরাপত্তা বিধানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।