সরকারদলীয় কোন্দলের সুযোগে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হামলা করেছে

0
521
blank
blank

ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায় ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার কারণ হিসেবে সরকারদলীয় কোন্দল ও প্রশাসনিক উদাসীনতাকেই দায়ি করছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চেয়ারম্যান এবং নাসিরনগরে সরকার দলীয় সক্রিয় কোন্দলের (এক গ্রুপ স্থানীয় সংসদ সদস্য ছায়েদুল ও অপর গ্রুপ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির) সুযোগ নিয়ে জামায়ত-বিএনপি তথা একাত্তরের পরাজিত শক্তি এই হামলা চালিয়েছে বলে তাদের সরেজমিন রিপোর্টে বলা হয়েছে। রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ স্মম্মেলনের মাধ্যমে এ তদন্ত রিপোর্ট তুলে ধরে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। বক্তব্য প্রদান করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, মানবাধিকার কর্মী এরমা দত্ত প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যরিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, ঝর্না গোস্বামী ও সাংগঠনিক সম্পাদক বায়েজিদ আক্কাস প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে হামলা করে চলেছে। এইসব হামলার ঘটনায় নিজেদের আড়াল করার জন্য প্রশাসনে সমর্থক ব্যক্তিদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ব্যবহার করেছে।’
এ সময় তিনি জানান, কিছুক্ষণ আগে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লী তাকে ফোন করে জানিয়ে যে সাঁওতালদের নামে মামলা করে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে, এ থেকে রেহাই চায় তারা।
এ সময় তিনি মায়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তাকে গণহত্যা ও এথনিক ক্লিনজিং বলেও আখ্যায়িত করেন।
বিচারপতি শামসুল হুদা বলেন, গোবিন্দগঞ্জে আমি দুই দিন অবস্থান করেছি। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, মতবিনিময় করেছি। একই সঙ্গে বিপর্যস্ত এলাকা ও সেখানে বসবাসকরা মানুষের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। কী অমানবিক দৃশ্য তা বলে বোঝানো কঠিন। সকল পর্যবেক্ষণ শেষে মনে হয়েছে এ ঘটনার জন্য সরকার দলীয় সাংসদ, চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক উদাসীনতা দায়ী।
বিচারপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের উপর যে হামলা বিগত দিনে হয়েছে এখনও হচ্ছে। কিন্তু একটিরও বিচার হয়নি। ফলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা। আর এই ‍সুযোগে অনুপ্রবেশ করছে জামায়াতীরা।