সরকার চাইলেই তারেক রহমানকে দেশে আনতে পারবে না: ড. মোশাররফ

0
863
blank
blank

ঢাকা: সরকার চাইলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, কারণ তারেক রহমান বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সুতরাং চাইলেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সাতদিন বৃটিশ হাই কমিশনের কাছে অবস্থান করলেও তারেক রহমানকে ফেরত আনা সম্ভব নয়। শুক্রবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারেক রহমান সব আইন মেনেই বৃটেনে অবস্থান করছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে যে কোনো মূল্যে দেশে ফিরিয়ে আনবেন বলে একটা ধুম্রজাল তৈরি করছে। তারেক রহমান যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন, কারণ এ দেশের সরকার তাকে সহ্য করতে পারে না।

তিনি বলেন, যতদিন না তারেক রহমান বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে বলবে আমি বাংলাদেশে যাবো, বাংলাদেশ আমার জন্য নিরাপদ ততদিন তাকে যে কেউ চাইলেই দেশে ফেরত আনতে পারবে না। তারেক রহামন অবশ্য বাংলাদেশে আসবেন, এ দেশের জনগণ তাকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু শেখ হাসিনা যেভাবে আনতে চায় সেভাবে তাকে ফেরত আনা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও আগামী সংসদ নর্বাচন একই সূত্রে গাঁথা। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে দেশে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না, আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সরকার খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাহিরে রেখে আবারও একটি পাতানো নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি আর কখনও হবে না। এবারেরে নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারেরে অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা পরাজিত হবে। তাই তারা সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ ভোট দিতে ভয় পায়। তাই খালোদা জিয়াকে কারাগারে রেখে একটি পাতানো নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের সেই স্বপ্ন কখনও পূরণ হতে দেবে না।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়ার পরও আপিল বিভাগের মাধ্যমে তার জামিন স্থাগিত করা হয়েছে। আইনের মারপেঁচে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অনেক বেশি অসুস্থ, তাই তার সুচিকিৎসার জন্য আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। কারণ তিনি অনেক বেশি অসুস্থ। আমরা আশা করি সরকার তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নিজের ইচ্ছামত চিকিৎসা নিতে সুযোগ দেবেন।

দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নূরে আরা সাফাসহ মহিলাদলের নেত্রীরা।