সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে: আব্বাস

0
561
blank

সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে টুকটাক কাজ করে যেমন দেশনেত্রী বেগম খালেদার জামিন বাতিল করে দিল। তারমানে বিএনপি একটু ছোট-খাটো আন্দোলন করবে এবং তারা বড় আকারে ধড়পাকড় করবে। এরকম একটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির করার চেষ্টা করছে।

সোমবার ‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস। জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১।

তিনি বলেন, উল্টা-পাল্টা কথা-বার্তা বলে আমাদের মুখ দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করছে। আমরা সেই ট্র্যাপে (ফাঁদ) পা দেব না। এই কথাটা আপনাদের মনে রাখা উচিৎ।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ‘নীল নকসা’র ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, প্রক্রিয়া চলছে দেশনেত্রীকে সাজা দেয়ার। স্বাভাবিক বিচারের মাধ্যমে না, প্রয়োজনে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া তারা প্রয়োগ করবে। দেখেন গত বৃহস্পতিবার হরতালের কারণে দেশনেত্রী সকালে যেতে পারবেন না বলে দুপুরে যাবেন, প্রস্তুতিও ঠিক। নিরাপত্তার কারণে উনি যাননি। কিন্তু বেলা ১২টায় জজ সাহেব গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে চলে গেলেন। এটা কোন দেশ? ধইরা-বাইন্ধা সাজা দিয়ে দেয়া। তাহলে আর বিচারের দরকার কী? নেত্রীকে ধরে জেল দিয়ে দেন- কি শুরু করেছেন আপনারা এই সমস্ত?

তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, আজকে আওয়ামী সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রহসনমূলক বিচার করে সাজা দেয়ার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এটা এত সহজ হবে না। আওয়ামী লীগ যদি ভাবে তাকে সাজা দিয়ে সব শেষ হয়ে যাবে, এটা খুব সহজ হবে না। আওয়ামী লীগ যদি ভাবে আমাদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে দেবেন। তাও এত সহজ হবে না।

দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।