সরকার ফের নির্বাচনের নীল নকশা করছে : মওদুদ

0
434
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ফের নির্বাচনের একটা নীল-নকশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, নির্বাচনের একটা নীল-নকশা সরকার করেছে। সেই নীল-নকশাটা কি? বিরোধী দল যাতে না থাকে, তাদের (বিরোধী দল) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আর আমরা এককভাবে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করবো, যাতে করে কোনো দল আর নির্বাচনে না আসে। আমরা (সরকার) ৫ জানুয়ারির মত আরেকটি নির্বাচন করবো। এটা আজকে তারা (সরকার) খোলা-মেলাভাবে বলেই দিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘দেশমাতার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার সরকারি ষড়যন্ত্র বন্ধ ও সকল রাজবন্দীর অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এই সভা হয়।
‘নির্বাচনের বিজয় আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, তার মানে নীল- নকশা অনুযায়ী নির্বাচন হয়ে গেছে, সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এখন শুধু গেজেট নোটিফিকেশন এবং শপথ গ্রহণ হবে। তো করে নেন (সরকারকে)? আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং এত দিন আমরা (বিএনপি) সন্দেহ করে আসছিলাম, আজকে তাদের (সরকার) মনে যা আছে সেটা হাঠাৎ করে বলে দিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে সরকার ধরে পড়ে গেছেন।
সরকারকে উদ্দেশে তিনি বলেন, নীল-নকশার নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেয়া হবে না। এই নীল-নকশা আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। বললেন, ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হবে। আর আজকে মার্চ মাসে বলছেন, সব হয়ে গেছে, এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। দেশের মানুষের সাথে যে তাদের সম্পর্ক নাই, এটাই তারা প্রমাণিত করেছেন।
এখন মিথ্যাচারের রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে বিএনপির এই প্রবীণ আইনজীবী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিশ্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন যেভাবে হয়েছে বর্তমান সরকারেরও পতন একইভাবে হবে। এটা অবধারিত। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তি যতই বিলম্বিত হবে ততই তার জনপ্রিয়তা বাড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দিন দিন তার (খালেদা জিয়া) জনপ্রিয়তা বাড়বে। যেদিন তিনি কারাগার থেকে বের হবেন সেই দিন বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে বের হয়ে আসবে। সেই জোয়ারে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আসবে। এই সরকারের আতঙ্ক সেটাই। সেই আতঙ্ক বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের (বিএনপি) দূর করতে হবে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের কাছে আমার অনুরোধ। যে ৪ থেকে ৫ জন বেশী গণতন্ত্রের কথা বলেন। তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান। আপনারা যে দৃশ্য দেখবেন তা আমি বলি, তারা নিজেদের এলাকায় নির্বাচিত হননি, কোন ভোট কেন্দ্রে ভোটাদের যেতে হয়নি। অথচ নিজেদের এলাকায় বিরোধী দলকে কোন ঘরোয়া বৈঠক পর্যন্ত তারা করতে দেন না। আর ঢাকায় বসে গণমাধ্যমের সামনে বলে, দেশে গণতন্ত্র আছে। আমি যে কথাগুলো বলছি, কেউ যদি বলে মিথ্যা বা অসত্য প্রমাণিত করতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। সুতরাং যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা সকালে উঠে আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন, আর বলেন, সত্য কথা বলবেন না মিথ্যা কথা বলবেন। জিজ্ঞেস করুন। তখনই আপনারা উত্তর পাবেন।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারী’র সভাপতিত্বে সভায় সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।