সাঁওতালপল্লিতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রুল

0
811
blank
blank

ঢাকা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকল এলাকায় সাঁওতালদের উচ্ছেদের নামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও হত্যা কেন আইনগতভাবে কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব, শিল্পসচিব, আইনসচিব, ভূমিসচিব, স্থানীয় সাংসদসহ ১২ জনকে বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৬ নভেম্বর ওই সহিংস ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল সোমবার দ্বিজেন টুডুর স্ত্রী অলিভিয়া হেমব্রম ও ক্ষতিগ্রস্ত গণেশ মুর্মুর স্ত্রী রুমালিয়া কিছকুর রিটটি করেন। আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রিটে সাহেবগঞ্জে চিনিকল এলাকায় উচ্ছেদের নামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও হত্যা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রসচিব, শিল্পসচিব, আইনসচিব, ভূমিসচিব, স্থানীয় সাংসদসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল রিটে।
৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতালের মৃত্যু হয়। পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। ঘটনার ১১ দিন পর সাঁওতালদের করা মামলা নেয় পুলিশ। সাঁওতালদের ওপর হামলা, ঘরে আগুন দেওয়া, পুরোনো বসতবাড়িতে লুটপাট ও হত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে।