সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বিদেশীদের নিরাপত্তা আমাদের বিদেশী বিনিয়োগ ও পর্যটন খাত

0
890
blank

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাম্প্রতিক বছর গুলোতে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা আমাদের দেশের বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতকে ঝুকিপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও পর্যটন খাতকে নানাভাবে উন্নতি করন করছে এবং বিদেশীদের নিরাপত্তার বিষয় গুরত্ব দিলেও বন্ধ করা যাচ্ছেনা বিদেশীদের অপদস্ত করা এমনকি হত্যার ঘটনা যা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট সহ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সৌদি কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব খাগোসী হত্যার ঘটনায় সরগরম হয় কূটনীতি পাড়া। অতপর জাপানী নাগরিক কোনিও হোসিও, ইতালীয়ান নাগরিক সিজার তাবেল্লা, গাজীপুরে ইন্দোনেশীয়ান ব্যক্তি ও তার সন্তানদের হত্যা, মেক্সিকান তরুনী ও তার প্রেমিকাকে ধমীর্য় কারনে হবিগঞ্জ থেকে অপদস্থ করে বিতাড়িত করা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা সহ বিদেশীদের বাংলাদেশ ভ্রমনে নিরাপত্তার কারনে মারাত্মক ঝুকিতে পর্যটন খাত। সাম্প্রতিক সময়ের একটি ঘটনা প্রবাহ নাড়া দেয় মানবতা কর্মী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে।

চট্টগ্রাম জেলার ফটিক ছড়ি থানার সাম্বীর বাপের বাড়ী নামক গ্রামের বাসিন্দা জনাব নূরল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মোকতার হোসেন। তিনি ডুবাই থাকাকালে ফিলিপাইনের তরুনীর সাথে হৃদয় ঘটিত সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রেমের বন্ধনকে স্থায়ী রূপ দিতে ফিলিপাইনী তরুনী জোসিলিন ব্লাংকো বিয়ে করে মোহাম্মদ মোকতার হোসেনকে। তাদের সন্তানও রয়েছে। এক পর্যায়ে ২০২০ইং সালের ২২ শে অক্টোবর স্ত্রী সন্তান সহ দেশে আসেন মোহাম্মদ মোকতার হোসেন। মোহাম্মদ মোকতার হোসেনের পিতা নূরুল ইসলাম ও তার পরিবার কট্টর পন্থী ও মৌলবাদী মনোভাবাপন্ন হওয়ায় খৃষ্টান তরুনীকে বিবাহ মেনে না নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন নূরুল ইসলাম। এলাকায় গুজব রটনা হয় মোঃ মোকতার হোসেনও খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করেছেন।

মাওলানা সাইফুল্লাহ আল হোসাইন হেফাজত নেতা। তিনি ও অন্যান্য নেতাকর্মীগন নূরুল ইসলামের বাড়ীতে এসে মোহাম্মদ মোকতার হোসেনকে মারপিট করে আহত করে বাড়ী হতে তাড়িয়ে দেয়। তিনি তার খৃষ্টান ধর্মালম্বী স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। চিকিৎসা গ্রহন করে হোটেলে গিয়ে জানতে পারেন কট্টর মৌলবাদী কিছু লোক তাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে। পরে তিনি মামলা করেন স্থানীয় আদালতে। উক্ত ঘটনা প্রবাহের সূত্র ধরে জোসিলিন ব্লাংকো ও তার সন্তানদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়লে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মোহাম্মদ মোকতার হোসেন ও জোসিলিন ব্লাংকো। সম্প্রতি আরো কিছু আলোচিত ঘটনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে আঘাত করে চরমভাবে, পর্যটন, বিনিয়োগ ইত্যাদি খাতে সরকার অতি গুরুত্ব দিয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলে সরকারের পদক্ষেপ গুলো আলোর মুখ দেখবে না।

প্রেম বিয়ে, ধর্ম, বর্ণ এগুলো মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতি। সাম্প্রতিক সময়ে পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি পরিকল্পিত বলে আজ প্রমাণিত। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের করেন সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা এবং প্রানহানী আপাতত রোধ করা গেলেও বিচ্ছিন্ন যে সব ঘটনা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তার সঠিক তদন্ত সঠিক বিচার নিশ্চিত করলে সিজার তাবেল্লা, কোনিও হোসিদের মর্মান্তিক হত্যা, জোসিলিন ব্লাংকো ও মেক্সিকান তরুনী মারিয়া স্টুয়ার্টকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে কাজে করা ব্যক্তিগন। পর্যটন ও বিনিয়োগ গতিশীল হবে। তাই বিদেশীদের বিশেষ নিরাপত্তা, ধর্মীয় সম্প্রদায়িকতা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবী। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ ছাড়া খৃস্টান ফিলিপাইনী গৃহবধু জোসিলিন ব্লাংকো ও মোহাম্মদ মোকতার হোসেন।