সিকৃবির গবেষণাঃ শিল্পবর্জ্যে সিলেটের ফসল উৎপাদন ব্যাহত

0
793
blank
blank

সিকৃবি প্রতিনিধিঃঃ   কলকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যমিশ্রিত পানির প্রভাবে ফসলের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস,উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসসহ মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(সিকৃবি) এক গবেষণায় ঢাকা,নরসিংদী,চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের শিল্পকারখানা পার্শ্ববর্তী এলাকার বর্জ্য মিশ্রিত দূষিত পানি সবজি ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করে এ ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।এতে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের বর্জ্য পানির নেতিবাচক প্রভাব সবজি ফসল উৎপাদনে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।সংগৃহীত পানির নমুনা বিশ্লেষনে দেখা যায় সিলেটের কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য পানিতে অতি মাত্রায় আয়রন,জিংক,নিকেল সহ অন্যান্য ভারী পদার্থ বিদ্যমান।সিকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনমুন সাহা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ ফুয়াদ মন্ডল এর তত্বাবধানে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবু রাশেদ মোঃ মওকিব “বাংলাদেশের বিভিন্ন সবজি ফসলের চারার মরণশীলতা ও বৃদ্ধির উপর শিল্প কারখানা হতে নির্গত ভারী ধাতব পদার্থের বিষক্রিয়া মূল্যায়ন” শীর্ষক গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।গবেষণায় দেখা যায় উক্ত অঞ্চলের বর্জ্য পানিতে প্রাপ্ত ভারী ধাতব পদার্থের ঘনমাত্রার পরিমাণ ফসল চাষের সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশী।আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সেচের পানিতে আয়রনের সহনীয় মাত্রা হলো ৫.০ মিলিগ্রাম/লিটার,কিন্তু সিলেট অঞ্চলের বর্জ্য পানিতে আয়রনের মাত্রা ৮.০ মিলিগ্রাম/লিটার যা ফসল চাষের অনুপযোগী।
বাংলাদেশের অধিকাংশ শিল্প-কারখানা তাদের অপরিশোধিত বর্জ্য পানি নিকটবর্তী নদী-নালা,খাল-বিল সহ বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে অপসারণ করে।এসব বর্জ্য পানির মধ্যে বিভিন্ন ভারী ধাতব পদার্থ যেমন লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেল, ক্রোমিয়াম, জিংক, আয়রন, আর্সেনিক, মার্কারী ইত্যাদি অতিমাত্রায় বিদ্যমান থাকে। এসব ভারী ধাতব পদার্থ প্রতিনিয়ত নিকটবর্তী নদী-নালা,খাল-বিলের পানির সাথে মিশে প্রাকৃতিক ও জলজ পরিবেশকে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও দূষিত করছে।সেচের পানিতে অতিমাত্রায় ভারী ধাতব পদার্থ বিদ্যমান থাকায় তা ফসলের উৎপাদন হ্রাস করার পাশাপাশি ফসলের ভক্ষণযোগ্য অংশে স্থানান্তরিত হওয়ায় মানবদেহে স্বাস্থ্য ঝুকি ও বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।