সিঙ্গেল ডিজিটে’ নামছে সুদের হার: অর্থমন্ত্রী

0
540
blank
blank

ঢাকা: এক মাসের মধ্যে ব্যাংকের সুদের হার ‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ব্যাংকিং খাতে সুদের হার বাড়ার প্রবণতা রয়েছে উল্লেখ করে এর পেছনে কোনো যুক্তি নেই বলেও মনে করেন তিনি।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। সম্মেলনের উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশে একটি আদর্শ ক্যাপিটাল মার্কেট গড়ে ওঠেনি বলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকেই বিনিয়োগের দায়িত্ব নিতে হয়েছে, যা ব্যাংকের মূল কাজ নয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘সুদের হার হঠাৎ বাড়তে শুরু করল। এই সুদের হার বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কেননা, কোথাও লিকুইডিটির কোনো সমস্যা নেই। অনেকে বলেছেন এবং আবেদন করেছেন যে লিকুইডিটি যাদের হাতে হাতে আছে, তারা খুব বেশি সংযমী। তাদের অনেক পয়সা রয়েছে, কিন্তু সেটা তারা ব্যবহার করে না।’

সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে তহবিল আছে, তার শতকরা ২৫ ভাগ অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা রাখার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা বাড়িয়ে শতকরা ৫০ ভাগ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। ব্যাংকের সুদের হার কমানোর নিশ্চয়তা ব্যাংকাররা তাকে দিয়েছেন বলেও জানান মুহিত। চলতি বছর মূল্যস্ফীতি নাগালের মধ্যে রাখার জন্য ব্যাংকারদের প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বর্তমানে যে সুদ হার, তা দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। নতুন এসব সিদ্ধান্তের ফলে সুদ হার কমবে।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর এস এম মুনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী, বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন (এবিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান, আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি শাহ এ সারওয়ারসহ আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।