সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

0
795
blank
blank

শুরুটা যেভাবে হওয়ার দরকার ছিল তা করতে পারেননি লিটন দাস। সৌম সরকারও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন। মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়ে আশা দেখিয়েছিলেন নাঈম শেখ। ৮১ রানের ইনিংস খেলে লড়াইয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিক, মাহামুদুল্লাহর যোগ্য সহায়তার অভাবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৩০ রানে। হ্যাটট্রিক কওে ম্যাচ সেরা হয়েছেন দিপক চাহাল। ৩.২ ওভাওে সাত রানে ছয় উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। দিল্লি জয়ের পর টাইগারদের সিরিজ হারতে হয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেই তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন দিপক চাহাল। দলীয় ১২ রানে লিটন দাসের বিদায়ের পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম সরকার। নাঈম শেখের সঙ্গে ৯৮ রানে জুটি গড়ে দলীয় ১১০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১১০ রানেই আউট হন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। দলীয় ১২৬ রানে ৮১ রান করে আউট হন নাঈম শেখ। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আশা যাওয়ার এই মিছিলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচটি হারলেও নাঈম শেখ ভারতকে ভালোই ভুগিয়েছেন। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন এই ওপেনার। তার ও মিঠুনের ৯৮ রানের জুটিতে মিঠুনের অবদান ছিল মাত্র ২৭ রানের। ৩৪ বলে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলেনেন নাঈম। ৪৮ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮১ রান করে নাঈম আউটে পথ হারায় বাংলাদেশ। পরের বলে দুবে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান আফিফ হোসেনকে। এই দুটি উইকেট হারানোর পর মাহমুদুল্লাহ ভরসা হয়ে ছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের কাছে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ১০ বলে ৮ রান করে ভারতীয় লেগস্পিনারের ৫০তম টি-টোয়েন্টি উইকেটে পরিণত হন তিনি। বাংলাদেশকে ১৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিনের নায়ক হয়েছেন দিপক চাহাল। ৩.২ ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার।
এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে আল আমিন হোসেন দেন মাত্র ৩টি রান। পরের ওভারের তৃতীয় বলে শফিউল ইসলাম ভাঙেন রোহিত শর্মার লেগ স্টাম্প। ৬ বলে ২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচেও প্রথম ওভারেই তিনি এলবি হন শফিউলের বলে।
শফিউল তার তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকেও ফেরান। ষষ্ঠ ওভারে তার দ্বিতীয় বলে অনেক উঁচুতে শট খেলেন ধাওয়ান। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ ধরেন মাহমুদুল্লাহ। ১৬ বলে চারটি চারে ১৯ রান করেন ধাওয়ান। লোকেশের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩ বলে ৩২ রানের। ওই ওভারের পঞ্চম বলেই আইয়ারকে জীবন দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় বলে জীবন পেয়ে রানের খাতা খোলেন আইয়ার। তার সঙ্গে লোকেশের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি অস্বস্তিতে রেখেছিল বাংলাদেশকে। ফিফটিও করেন লোকেশ, ৩৩ বলে। এর ২ বল পর আল আমিনের শিকার হন তিনি। ৩৫ বলে ৭ চারে ৫২ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। আল আমিন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই ভাঙেন ৪১ বলে ৫৯ রানের জুটি।
এরপর জ্বলে ওঠেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া আইয়ার। এই ব্যাটসম্যানই ঝড়ো এক ইনিংস খেলে ভারতকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেন। ২৭ বলে তিনি করেন প্রথম ফিফটি, ১ চার ও ৫ ছয়ে। আফিফ হোসেনের প্রথম ওভারেই টানা তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আরও একবার ক্যাচ মিস করেন বিপ্লব। ডিপ মিডউইকেটে শিবম দুবের ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। ৩ রানে জীবন পান তিনি। দুবে ৯ রানে, আর মনিশ ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ও সৌম্য। আফিফ ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। একমাত্র ওভারে ২০ রান দেন আফিফ, মোস্তাফিজের ৪ ওভারে ভারত পায় ৪২ রান।