সিলেটে সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ

0
494
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বৃহষ্পতিবার থেকেই সিলেট থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সকল ধরণের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা বাস টার্মিনালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন; কাউকে আবার বাস ছাড়ার আশায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

যাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই কমতে থাকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা। সকালে কোনো ধরণের ঘোষণা ছাড়া পুরোপুরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে বাস টার্মিনালে এসে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

সিলেট বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হক মানিক বলেন, রাস্তায় বের হলেই শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা মতো বাস ভাঙচুর করছে। এতে মালিকরা লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তাই নিরাপত্তার অভাবে ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি সিলেট আঞ্চলিক সড়কেও সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাদের এ বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শ্রমিকরা দাবি করছেন, বাস চালকদের মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যােগর প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের দাবি, রাস্তায় চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। চালকরা এজন্য দায়ী নয়।

সড়কে নিরাপত্তা না থাকার অজুহাতে সিলেটের মতো দেশের আরও বেশ কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সেলিম আহমদ ফলিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা নিরাপত্তার অভাব থাকায় চালকরা গাড়ি বের করছেন না। কারণ বেআইনীভাবে গাড়ি ভাংচুর করা হচ্ছে। আমাদের সিলেটের চালকরা রাস্তায় নামছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদেরকে অন্যায়ভাবে মারধোর করছে। গাড়ির কাগজ-পত্র পরীক্ষা করছে। তাদেরকে এ অধিকার কে দিল। অবিলম্বে ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।