সম্প্রতি বন্যায় হাওর-জলাশয়ে ধান পঁচে এমোনিয়া গ্যাসে মাছের মহামারী শুরু হওয়ায় প্রশাসন মাইকিং করে ওইসব পঁচা মাছ না খাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়ার পর এসব জলাশয়ে সবধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম এই নির্দেশনা জারি করেছেন।
প্রশাসন জানায়, গত কয়েক দিন ধরে হাওর-জলাশয়ে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে হাওরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। মত্স্য বিভাগ বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করে মরা মাছ খাওয়া থেকে জনগণকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছে। অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম আগামী এক সপ্তাহের জন্য সুনামগঞ্জের হাওর জলাশয় (যেখানে সাধারণত মাছ ধরা হয়) এমন স্থানে সবধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেলা মত্স্য অফিসার রঞ্জন কুমার দাস বলেন, আমরা মাইকিং করে হাওড়ে ভেসে ওঠা পঁচা মাছ না খাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছি। পাশাপাশি আমরা যেখানে সাধারণত সবসময় মাছ ধরা হয় সেসব স্থানে মাছ না ধরার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
সুনামগঞ্জের হাওর ছাড়াও মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড়ে মাছ মরে ভেসে উঠেছে। সেখানেও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের হাওর এলাকায় অকাল বন্যায় বোরো ধান তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় গাছ পঁচে গেছে।