সুনামগঞ্জে একের পর এক হাওর তলিয়ে যাচ্ছে

0
834
blank

কে.এম.শহীদুলইসলাম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকছে। নিজেদের ফসল রক্ষায় বাধঁ নির্মানে নিজেরাই প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরে বিএডিসি’র অর্নিমিত সুইচ গেইট দিয়ে পানি ঢুকছে। লক্ষনশ্রী ইউনিয়ন চেয়ারম্যন বিএডিসি’র দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের যোগসাজসে টলাখালী বাঁধে ব্যাপক অনিয়ম ও সুইচ গেইট নির্মান কজের বরাদ্ধকৃত টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, দেখার হাওরের পানি নিস্কাশনের জন্য টলাখালী বাঁধে বিএডিসি’র সুইচ গেইট নির্মান করা হচ্ছে। সুইচ গেইটে নিম্নমানের বালি, পাথর ও রড ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না এমন অভিযোগ বার বার করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি বরং অভিযোগকারীদের চাঁদাবাজী মামলায় ডুকিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই সুইচ গেইটে কাজ চলেছে ধীর গতিতে। কাজ হয়েছে যাচ্ছে তাইভাবে। কাজে সরকারী অর্থ লুটপাটে উৎসবে মেতে থাকাবস্থাই সামন্য বৃষ্টিতে হাওরে পানি ডুকতে শুরু হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক, বিএডিসি’র দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারি ও ঠিকাদারের তত্বাবধায়কের সাথে সরেজমিন আলপ করে জান যায়, প্রতিটি ঢালাইয়ে ৫ সুতা রড ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৩-৫ সুতা রড। কাটা পাথর ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে বালি ও মাটি মিশ্রিত নিম্নমানের নুড়ি পাথর।স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, কোন প্রকার ওয়াশ ছাড়াই নি¤œ মানের পাথর ও বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সাথে ১ ফুট কিংবা ১০ ইঞ্চি দুরত্ব রেখে ৩-৫ সুতা রড ব্যবহার করে ঢালাই দেয়া হয়েছে। যা বিএডিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার মিলে সরকারী অর্থ হরিলুট করছে। নাম মাত্র সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কৃষকরা।এ ব্যাপারে ঠিকাদার মনির হোসেনের মোবাইলে বার বার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।ঠিকাদারের তত্বাবধায়ক আলফু মিয়া নিমানের বালি ও পাথরে মাটি মিশ্রনের কাথা স্বীকার করে জানান, জায়গার স্বল্পতার কারণে এবং ব্লক তৈরীর জন্যই সিঙ্গেল ও বাজে পাথর রাখা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার ও এস ও হাবিবের সামনেই এই পাথর দিয়ে কাজ করা হয়েছে। প্রতিদিনই এসও হাবিব উপস্থিত থাকেন। আর কাজের বিস্তারিত বিবরণসহ সাইনবোর্ড টানানোর কথা অফিস থেকে বলা হয়নি এবং সাইন বোর্ড টানানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও যানান। আর বালি পাথর সাপ্লাই দেন লক্ষনশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ। বালি পাথরের বিষয়ে জানতে চাইলে উনার সাথে যোগাযোগ করুন।এ ব্যাপারে লক্ষনশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ বিএডিসি’র সহকারী প্রকৗশলী আবু আহমেদ মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি পরিদর্শনে গিয়ে নিম্নমানের বালি পাথর ও রড দেখি নাই। প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ১.২ মিটার করে ৩টি পাইপ থাকবে। কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয় নাই।এ দিকে ধর্মপাশা উপজেলার ডুবাইল হাওর, মারাদাইড় হাওর, চন্দ্রসোনারতাল হাওর, লাউয়া হাওর, দিরাই উপজেলার হাওর বরাম, উড়িবিল, কলাইন হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদারের নির্মিত বাধঁ ভেঙ্গে পানি ঢুকছে। তলিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ একর ফসলী জমি। বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জে ফসল রক্ষায় কৃষকরা আন্দোলন সংগ্রাম করছে।এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন বলেন, প্রবল বর্ষন, পাহাড়ী ঢলে নদীর পানি ভরে উঠায় কয়েকটি হাওরে পানি ঢুকছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারীরা কাজ করছে।