সুনামগঞ্জে মহিলা কাউন্সিলরের হাতে ভাইস প্রিন্সিপাল শারীরিকভাবে লাঞ্চিত

0
1060
blank

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা সরকারী দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রমথ চক্রবর্তী শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর সুজাতা রানী রায়।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে এই প্রিন্সিপালকে তার বাসার সামনে একা পেয়ে ঐ মহিলা কাউন্সিলর তার দুটি মেয়েকে সাথে নিয়ে ঐ শিক্ষকের সার্টের কলারে ধরে টানাহেচড়া করে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর সুজাতা রানী রায়ের পাশে ঐ শিক্ষকের জায়গাতে বাসা(বিল্ডিং) তৈরীর কাজ করছিলেন। কিন্তু মহিলা কাউন্সিলর বিভিন্ন সময় তার কিছুটা জায়গার মধ্যে ঐ শিক্ষক বিল্ডিং তৈরী করছেন এমন অজুহাতে তাকে আরো কয়েকবার শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন ঐ কাউন্সিলর। এ নিয়ে শিক্ষক সদর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে করেছেন। ঐ মহিলা কাউন্সিলর বেশ কয়েকমাস আগে একজন সাংবাদিকের ছেলেকে ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন এছাড়াও আর বেপরোয়া আচরেন অতিষ্ট তার নির্বাচনী এলাকার লোকজন। দেশে নারী নির্যাতনের আইনের প্রয়োগ থাকলেও পূরুষ নির্যাতনের কোন আইন না থাকায় প্রতিনিয়ত কোথাও কোথাও পূরুষ নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার এমন বেপরোয়া আচরনের বিরুদ্ধে এখনই আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আরো অনেক পূরুষকে ঐ মহিলা কাউন্সিলরের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হবে বলে আশংঙ্কা অনেকের।
এ ব্যাপারে লাঞ্চিত বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা সরকারী দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রমথ চক্রবর্তী জানান, ঐ মহিলা কাউন্সিলরের হাতে তিনি আরো কয়েকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সদর থানায় জিডি এন্ট্রি ও করেছেন।
এ ব্যাপারে মহিলা কাউন্সিলর সুজাতা রানী রায় জানান,ঐ শিক্ষক যে জায়গাতে বিল্ডিং তৈরী করছেন সেটা হলো এনিমি প্রোপারর্টি। ঐ জায়গার বিষয়টি নিয়ে আদালতে বিচারাধীন জায়গার উপর ঘর তৈরী করার প্রতিবাদ করলে শিক্ষক নাকি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগ কাউন্সিলরের। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।