সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্বে আসছেন কারা !

0
500
blank
blank

বিশেষ প্রতিনিধি: আর মাত্র একদিন পরই বহুল প্রত্যশিত সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলন। কারা আসছেন নতুন নেতৃত্বে এনিয়ে চলছে জোর আলোচনা। সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে শুরু করে জেলার সককটি উপজেলার আওয়ামীলীগ রাজনীতির নেতাদের দৃষ্টি এখন সুনামগঞ্জের দিকে। বিশেষ করে জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে এবার বেশ কয়েকজন জেলা আওয়ামীলীগের স্থান পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান হতে পারেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামীলীগে দীর্ঘদিনের কোন্দল গ্রুপিং অবসান হতে পারে বলে জোর আলোচনা রয়েছে। জেলা সকল সংসদ সদস্যগন তাকে সভাপতি পদে দেখতে চান। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছে জগন্নাথপুরের সন্তান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমনের নাম। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তনুজ কান্তি দেব ও সাবেক ছাত্রনেতা জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা কমিটিতে উল্লেখযোগ্য স্থান পেতে পারেন। গুরুত্বপূন পদে স্থান পাবেন প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ তনয় আজিজুস সামাদ ডন, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবুল কাশেম। বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ স্বপদে থাকবেন বলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আশা করছেন। ১৭ বছর পর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতি। সম্মেলনের পর নতুন জেলা কমিটিতে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দলের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে দাবি করছেন তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে আলোচনা রয়েছে এম এ মান্নানকে সভাপতি করে জেলা আওয়ামীলীগের কোন্দল নিরসন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে এম এ মান্নানকে সভাপতি ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বখত জগলুল অথবা নুরুল হুদা মুকুটকে সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে। আবার আইয়ুব বখত জগলুলকে সভাপতি ও নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি করে নতুন নেতৃত্ব হতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে। আলোচনায় রয়েছেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমনের নাম। সন্মেলন নিয়ে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ দু’ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। জেলার জ্যেষ্ট নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত অসুন্থ অবস্থায় আমেরিকায় চিকিৎসাধীন থাকায় সন্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে তার থাকার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারবেন না বলে তার ঘনিষ্টজনরা নিশ্চিত করেছে। বিভক্ত আওয়ামীলীগের এক পক্ষে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট। যদিও এই দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘদিন মুখদেখাদেখি বন্ধ ছিল সন্মেলনকে সামনে রেখে তারা ভারমুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
অপরদিকে ভারপ্রাপ্তের কবল থেকে সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগকে মুক্ত করতে জেলার সকল সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এম এ মান্নানকে সভাপতি হিসেবে চাইছেন। আলোচনা রয়েছে সন্মেলনে বড় শোডাউন হলেও কাউন্সিল হবে না। কাউন্সিল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ রয়েছে। ইতিমধ্যে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন উপজেলা ইউনিট কমিটি রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সন্মেলন করলেও পরবর্তীতে কমিটি ঘোষনা দিতে পারেন। অথবা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করতে পারেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সন্মেলনের দিনক্ষন যত ঘনিয়ে আসছে সবাই ব্যস্ত এখন সন্মেলনকে সফল করতে। কারা আসছেন আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্বে এনিয়ে চলছে জোর আলোচনা। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলন হয়েছিল।