সুন্দরবন রক্ষায় সোচ্চার হওয়াটা আমাদের অধিকার: সুলতানা কামাল

0
1160
blank
blank

ঢাকা: সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অর্থের সূত্র বিষয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনরতদের বাংলাদেশবিরোধী শক্তির দাবার ঘুঁটি বলে উল্লেখ করায় আমরা যারপর নাই ক্ষুদ্ধ, বিস্মিত ও মর্মাহত। মঙ্গলবপর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, একজন সংগ্রামী জননেত্রী কর্তৃক অন্যের সংগ্রামকে খাটো করে দেখার এমন প্রবণতায় আমরা হতবাক হয়েছি। রামপালবিরোধী আন্দোলনকে দমনেরও হুমকি দেয়া হয়েছে। এসবের বিপরীতে আমরা শুধু স্পষ্ট করতে চাই, সুন্দরবনের ওপর পরিবেশগত হুমকির প্রেক্ষাপটে সরকার ও সুন্দরবনের প্রকৃত মালিক এদেশের জনগণকে অবহিত করে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াকে আমরা আমাদের সংবিধানিক কর্তব্য ও অধিকার বলে আমরা মনে করি।

‘রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিষয়ক সর্বশেষ পরিস্থিতি: নাগরিক সমাজের প্রতিক্রিয়া’ ব্যক্ত করতে এই সংবাদ এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আন্দোলনের সাথে এ বিষয়ে বিএনপি’র সাম্প্রতিক অবস্থানকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যা মোটেই সত্য নয়। তিনি বলেন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আন্দোলনের সাথে বিএনপি’র কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই কানসাটে আন্দোলনরত গ্রামবাসীর পাশে এবং ফুলবড়িতে উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানকে তৎকালীন বিএনপি সরকার সেই সময়ের বিরোধী দলের সাথে আমদের অশুভ আঁতাতের ফল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। অথাৎ সকল সময়ই ক্ষমতাসীন সরকার তাদের কার্যক্রমের সমলোচনাকে ঢালাওভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। কানসাটের এবং ফুলবাড়ির সপল আন্দোলন প্রমাণ করেছে ক্ষমতাসীণদের এমন দোষারোপ সঠিক নয়, ভ্রান্ত।
এছাড়াও অন্য যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দা রিজিয়া হাসান, অধ্যাপক এম এম আকাশ, খুশী কবির, ডা. আবদুল মতিন, শরিফ জামিল প্রমুখ।