সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখবে আনসার বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী

0
1009
blank

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এই আশা প্রকাশ করেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের জনগণের এবং সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ বাহিনীর সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন, ঈদ, পূজা-পার্বণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সাথে কর্তব্য পালন করছে এ বাহিনী। আয় বৃদ্ধিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাহিনীর হতাহত সদস্য এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের আন্তরিক সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসার বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, আনসার সদস্যগণ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে অস্ত্রাগারের চল্লিশ হাজার রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করেন। ’৭১-এর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানকে ১২ জন আনসার সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ৬৭০ জন আনসার সদস্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন।
বাণীতে শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ মাসে ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সাথে তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।