২০১৫ মানবাধিকার পরিস্থিতির উদ্বেগজনক বছর

0
896
blank
blank

ঢাকা: মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২০১৫ সালের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৫: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি এই সংগঠন।

আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির দৃশ্যমান অবনতি না ঘটলেও উন্নতি ঘটছে না। এর মূল কারণ বিচারহীনতার সংস্কৃতি। ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় জনগণের মনে দোদুল্যমানতা দেখা দিয়েছে।

জাতীয় সংবাদ মাধ্যম ও আসকের তথ্যানুসন্ধানের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে বিবেচনায় আনতে হয়; একটি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং অপরটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার। ২০১৫ সালের মানবাধিকারের দ্বিতীয় সূচক অর্থাৎ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা গেলেও বছরের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবপাচার ও অভিবাসী শ্রমিক, মুক্তমনা লেখক ও প্রকাশকদের হত্যাকাণ্ড, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী নির্যাতন, সীমান্ত হত্যা, শিশু নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতন ও আদিবাসীদের অধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপির মহাসমাবেশে সরকারের বাধা এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডকে প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়।এই সহিংসতা দমনে বিরোধী পক্ষকে সরকারের ‘দমন-পীড়ন’ এরও সমালোচনা করা হয় প্রতিবেদনে।

আসকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, একটি দেশে যখন মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি গেড়ে বসে তখন জনগণের মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই ব্যাপারটা খুবই অ্যালার্মিং। সরকারের উচিত মানবাধিকারের একটি সর্বজনগ্রাহ্য মান বজায় রাখা।