২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল, খালেদা ছাড়া নির্বাচন নয়

0
429
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০ দলীয় জোটের নতুন সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বলেও জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার জোটের বৈঠকে নেতারা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই কেবল নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না ২০ দল। রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বৈঠক শেষে জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, আমরা জোটের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ঐক্যমতে পৌঁছেছি, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই কেবল নির্বাচনে অংশ নেব। তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না ২০ দল।

তিনি বলেন, আমরা জোটের পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে জানিয়েছি, বিদেশি কূটনৈতিকসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে জোটের শরিকদেরও যেন রাখা হয়। যাতে সবাই মিলে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।

লেবার পার্টির প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা ও কারামুক্তি নিয়ে জোটের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না জোট। জোটের আরেক নেতা বলেন, আমরা সমন্বিত কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বিএনপি নেতাদের মধ্যে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান। জোট নেতাদের মধ্যে জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিশের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এমএ রকিব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লূত্ফর রহমান, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল কাশেম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ-ভাসানীর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরিব নেওয়াজ, লেবার পার্টির এক অংশের ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং অপর অংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।