টাকা ও চাকরি দরকার হলে আমার কাছে আসবে: সেতুমন্ত্রী

0
482
blank

ঢাকা: ছাত্রলীগ নেতাদের কোনও অপকর্ম না করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা অপকর্মে লিপ্ত হবা না। টাকার দরকার হলে আমার কাছে এসো। যখন ছাত্রত্ব শেষ করবে, চাকরি দরকার, আমার কাছে আসবে। এটা নেত্রী আমাকে বলে দিয়েছেন। এমন কিছু করবে না যাতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তবে ক্ষমতাসীন দল করলেই যে চাকরি হবে- সে নিশ্চয়তা নেই। রিটেনে (লিখিত পরীক্ষা) টিকবে, তারপর। নিয়মমত আমি প্রত্যেকের জন্য চেষ্টা করব।’

রোববার বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান রিপন।

টেন্ডার নিয়ে ছাত্ররা ‘মারামারি করে’ মন্তব্য করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের দরপ্রস্তাবে ই-টেন্ডারিং চালু করার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা টেন্ডার খেলায় মেতে উঠেছেন। আর এই টেন্ডার নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়। এখনো কেন আপনারা এনালগে আছেন? কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব টেন্ডারের জন্য দয়া করে ই-টেন্ডার সিস্টেম চালু করুন।’

ছাত্রলীগের পদ ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ‘অশুভ খেলায়’ মেতে উঠেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে তিনি বলেন,’ছাত্রলীগের কমিটি ছাত্রলীগ করবে, সম্মেলনের পর কমিটি নিয়ে ঢাকায় আসা যাবে না। বিলম্বিত কমিটি অযোগ্যদের সুবিধা করে দেয়। ছাত্রলীগের কমিটি ছাত্রলীগ দেবে। নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। নিজের দল ভারী করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি-মন্ত্রীরা ছাত্রলীগের শেয়ার দাবি করলে সেটা দেওয়া যাবে না। স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার কেন হবে ছাত্রলীগ? এই অশুভ খেলায় আজ বহু জায়গায় ছাত্রনেতারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের বাসার ড্রয়িং রুমে যাচ্ছে।’

এসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা, যেখানেই সম্মেলন সেখানেই কমিটি দেয়া, কথায় কথায় কমিটি বাতিল না করা, ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাদের মুজিব কোট পরার আহ্বান জানান।