বিএনপি নেতার ভাই মোঃ মেহেদী হাসান নিখোঁজ; পরিবারের অভিযোগ গুম, পুলিশের অস্বীকার

0
169
blank
blank

নিজস্ব প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার সদর থানার সাবগ্রাম ইউনিয়নের অর্ন্তগত চকঝপু গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে এবং সাবগ্রাম ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি এর প্রচার সম্পাদক মোঃ মাহমুদ হাসানের ভাই মোঃ মেহেদী হাসানকে গত ২২ শে মার্চ, ২০২১ইং সালে দিবাগত রাতে ডিবি পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত এবং সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে তার বসতবাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে মোঃ মেহেদী হাসান। তার ভাই মো মাহমুদ হাসান ও পরিবারের সকল সদস্যের দাবী পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন এই অভিযোগ সম্পুর্ণ অস্বীকার করে বলছে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।
এই বিষয়ে সরেজমিন তদন্তে জানা যায় জনৈক স্থানীয় প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের নেতা হাবিবুর রহমানের সাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় বাধা দানকে কেন্দ্র করে বিএপি নেতা মোঃ মাহমুদ হাসানের সাথে হাবিবুর রহমান এর বৈরিতা দীর্ঘ দিনের। নিখোঁজ মোঃ মেহেদী হাসান তার ভাই মোঃ মাহমুদ হাসানকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেন। অন্যদিকে রিলিফের সামগ্রী অনৈতিক ভাবে গোদামজাত করে বিক্রি করার বিষয় নিয়ে নিখোজ মোঃ মেহেদী হাসানের ভাই মোঃ মাহমুদ হাসানের সাথে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত নির্বাচিত স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব নয়ন সরকার ও ইউ পি সদস্য সাইফুল ইসলামের মধ্যে দ্বন্দ এখন চরমে। এই অবস্থায় নিখোজ মো মেহেদী হাসানকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায় রাজনৈতিক ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মাহমুদ হাসানের দ্বন্দ রয়েছে অনেকের সাথে। মাহমুদ হাসানের সকল প্রতিবাদে সমর্থন ও সহযোগীতা করতো তার ভাই মেহেদী হাসান। এই কারনে কোন একপক্ষ তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নয়ন সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মাহমুদ হাসানের দলের মধ্যেই অভ্যন্তরীন কোন্দল এই কারনে গুম হতে পারে মোঃ মেহেদী হাসান।
আওয়ামীলের প্রভাবশালী নেতা হাবিবুর রহমান জানান, আমার কারো সাথে দ্বন্দ নাই। কে কাকে গুম করেছে এই বিষয় আমি জানিনা। এটা আমার দায়িত্ব নয়। বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মাসুদরানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রেফতারের বিষয় অস্বীকার করে বলেন এরকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মেহেদী হাসান নামে কউকে আমরা গ্রেফতার করিনি বিধায় গুমের প্রশ্নই আসেনা। মামলা হলে ব্যবস্থা নিব। বিষয়টি শুনেছি আমাদের কাছে এখনও লিখিত অভিযেগ আসেনি।

মোঃ মেহেদী হাসান অত্যন্ত নম্র ভদ্র ব্যক্তি ছিল বলে তার গ্রাম চকঝপুর বাসিন্দা ফারুক মিয়া জানান। তিনি ত্রিমূখী সন্দেহের কথা বলেন। প্রকৃত পক্ষে মোঃ মেহেদী হাসানকে বা কাহারা অপহরন করেছে তার সু নিদিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার আগের দিনই একটি হত্যাকান্ড হয়। এই হত্যাকান্ডে মেহেদী হাসানের ভাই মো মাহমুদ হাসানও আসামী। তিনি পলাতক থানায় তার বক্তব্য গ্রহন সম্ভব হয়নি। মাদক ব্যবসায় প্রতিবাদে সহায়তা রিলিফের গুদামজাত পন্যআত্নসাৎ, রাজনৈতিক দ্বন্দ নাকি ভাইয়ের দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল তার সুরাহ চান এলাকাবাসী পরস্পর বিরোধী। অভিয়োগে গুমের ঘটনা যেন চাপা পড়ে না যায় এই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।