ব্যাংক আমানতের সুদহার বাড়ছে

0
34
blank
blank

ওবায়দুল্লাহ রনি: উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এখন মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমেছে। এর মধ্যে ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে টাকা উঠে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে এখন সরকারকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি ঋণ না দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে তারল্যের চাহিদা থাকায় আমানতের সুদহার বাড়ছে। অন্যদিকে, তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো তুলনামূলক বেশি সুদে আমানত নিচ্ছে। কোনো কোনো ব্যাংক ৯ থেকে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে আমানত নিচ্ছে। ঋণের সুদহার যেখানে সাড়ে ১১ শতাংশের নিচে।

ব্যাংকাররা জানান, একটি ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ব্যয়ের সঙ্গে স্থাপনা ভাড়া, কর্মীদের বেতন-ভাতা, বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণসহ বিভিন্ন খরচ যোগ হয়। এর সঙ্গে খেলাপি হওয়া অংশের বিপরীতে ব্যাংকের সুদ ব্যয় থাকলেও কোনো আয় দেখানো যায় না। মোট তহবিল সংগ্রহ খরচের সঙ্গে ২ থেকে ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণ না দিলে লোকসান হয়। তবে সংকটে পড়া অনেক ব্যাংক এখন টিকে থাকার জন্য উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে।

বিভিন্ন ব্যাংকের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, পদ্মা ব্যাংক এখন মেয়াদি আমানত নিচ্ছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে। ন্যাশনাল ব্যাংক বিশেষ সঞ্চয় স্কিমে সাড়ে পাঁচ বছরে দ্বিগুণ তথা ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তিন বছরমেয়াদি আমানতে রাখলে দিচ্ছে সাড়ে ৯ শতাংশ মুনাফা। সংকটে থাকা কোনো কোনো ব্যাংক আবার ঘোষণার চেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে। তবে সব ব্যাংকই এত বাড়তি সুদে আমানত নিচ্ছে তেমন নয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ব্যাংক তিন বছরমেয়াদি আমানতে সর্বোচ্চ সুদ দিচ্ছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকও মেয়াদি আমানতে সর্বোচ্চ সুদ দিচ্ছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে তিন বছরমেয়াদি আমানত রাখলে সর্বোচ্চ মুনাফা দিচ্ছে ৭ শতাংশ।

ব্যাংকাররা জানান, সচেতন মানুষ আমানত রাখার ক্ষেত্রে সুদহারের চেয়ে যথাসময়ে ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার বিষয়টি বেশি বিবেচনায় নেয়। এজন্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদ অফার করলেও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত আমানত পায় না।