মিয়ানমারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুল

0
520
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ামারের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় ও হতাশা ব্যক্ত করেছে বিএনপি। সেই সাথে সমঝোতা চুক্তিটি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবিও জানিয়েছে। শুক্রবার সকালে মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব বলেন।
বৃহস্পতিবার সমঝোতা চুক্তি সইয়ের পর বিএনপির পক্ষ থেকে এই আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এলো।
বায়তুল মোকাররমে জাতীয় মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই সদ্য মরহুম আহমেদ কামালের নামাজে জানাজায় যাওয়ার আগে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় দলের সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়েছি। ওই চুক্তির মূল বিষয়গুলো আমরা জানি না, জনসমক্ষে আনা হয়নি। এই চুক্তির ফলে তারা (রোহিঙ্গা) কতটুকু আস্থা ফিরে পাবেন যে, তারা সেই জায়গায় আবার ফিরে যাবেন, যে জায়গায় তাদের নিরাপত্তা থাকবে কি না, আবার তারা সেই গণহত্যার শিকার হবে কি না- এ বিষয়গুলো এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই জানি না। এখনো মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন করছে, অত্যাচার করছে। প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে বহু লোক এখানে আসছে। এই অত্যাচার-নির্যাতন-গণহত্যা বন্ধ না করে আবার সেখানে তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা- এটা আমরা মনে করি আরেকটি নরকের মধ্যে ঠেলে দেয়ার সমস্যা হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ চান কি না প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, অবশ্যই অবশ্যই জনসমক্ষে চাই।
সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আশা করবো যে, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তিটি সত্যিকার অর্থে সেখানে তাদেরকে নাগরিকত্বের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় এটা একেবারেই একটা ব্যর্থ চুক্তি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ, ‘এখন পর্যন্ত তারা যে গণহত্যা করেছে সেটা কিন্ত বাংলাদেশ সরকার সেভাবে তুলেও ধরেনি এবং একই সাথে সেই যে স্বীকৃতি সেটাও কিন্তু আন্তর্জাতিক সেটাও সেভাবে পাওয়া যায়নি। যদিও জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই কথাগুলো বলেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সে কথাটা এখন পর্য়ন্ত পাওয়া যায়নি।