মেয়াদ শেষ হলেও গুরমার হাওরের মাহমুদপুর কম্পার্টমেন্টাল বাধেঁ মাটি পরে নাই

0
563
blank

স্টাফ রিপোর্টার: ফসল রক্ষা বাধেঁর মেয়াদ শেষ হলেও গুরমার হাওরের মাহমুদপুর কম্পার্টমেন্টাল বাধেঁ এক টুকরি মাটিও পড়েনি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ জন্য তাহিরপুর উপজেলার গুরমার হাওরের মাহমুদপুর কর্ম্পাটমেন্টাল বাধেঁর কাজ না করায় শংখিত কৃষকরা। এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জানায়, প্রতি বছরই ০২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গুরমার হাওরের মাহমুদপুর কর্ম্পাটমেন্টাল বাঁধের মেরামত কাজ করলেও এইবার ৩নং ওয়ার্ডের সদস্যকে দিয়ে কাজ করার পিআইসি দাখিল করেন ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে পিআইসি সভাপতি ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম কিবরিয়া এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী রেজাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ছোটন তাঁর ওয়ার্ডের কাজ তাকে দেয়ার আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীকে ৮ ফেব্রুয়ারী সাধারন শাখার সহকারী কমিশনার স¤্রাট খীসা কর্তৃক স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পত্র প্রদান করেন। উক্ত পত্র দেয়ার পর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্যসহ অন্য ওয়ার্ডে সদস্যদের নিয়ে পিআইসি গঠন করেই প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করে কোন কাজ না করে আত্মসাতের পায়তারা করছেন। প্রকল্পের সময় পেরিয়ে গেলেও কোন কাজ না করায় হাওরের ফসল রক্ষায় কৃষকরা মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে পিআইসি সভাপতি ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, প্রায় ৩ লাখ টাকার মাটি ভরাট করিয়েছি। বাশঁ, বস্তা ও স্লোপ বাকি রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বাকী কাজ সম্পন্ন করতে পারব। তবে পিআইসি’র তালিকা মুল্য অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। অতিরিক্ত টাকা পেলেন কোত্থেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমি ৩৫ হাজার টাকার বিল উত্তোলন করেছি। বাকী টাকা আমার নিজের পকেট থেকে ব্যয় করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও আলী রেজার মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আফছার উদ্দিন বলেন, ৮৬ নম্বর পিআইসি’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরজমিন পরির্দশনে যাবো। অনিয়ম পেলে পিআইসির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।