ঢাকা : পরীক্ষার হলে বসার জন্য প্রায় ৬ মাস ধরে প্রহর গুনছেন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। তবে কবে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। এই পরীক্ষার ওপরই নির্ভর করছে ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, পরবর্তী শিক্ষাজীবন ও তাদের ভবিষৎ। তাই দীর্ঘদিন থেকে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনেকেই হাঁফিয়ে উঠেছে। কেউ কেউ হয়ে পড়ছেন মানসিকভাবে অসুস্থ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, পরীক্ষা নিয়ে এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। স্কুল খোলার ১৫ দিন পর পরীক্ষা শুরু হবে। করোনা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই।
গত ২ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস (কোভিড-১) মহামারীর কারণে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৩ দিন আগে স্থগিত হয়ে যায়। শুধু এইচএসসি নয়, সব ধরনের পরীক্ষাই স্থগিত হয়। বন্ধ হয় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী ৩ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা রয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার না কমায় ওই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে অতি দ্রুত সময়ে এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে।
এপ্রিলে পীরক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম। কিন্তু এবার এই প্রক্রিয়া থমকে আছে। কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে, নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। যদিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হয়। এটি এলে পরীক্ষা শুরুর ১৫ দিন আগে তারিখ জানানো হবে।