কৃষি ব্যাংকে ৬৪ কোটি টাকা লোপাট!

0
513
blank

নিউজ ডেস্ক: ব্যাংক টু ব্যাংক এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাভার শাখা থেকে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকটির সাময়িক বরখাস্তকৃত মুখ্য কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলামকে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিচালক মো. বেলাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মুখ্য কর্মকর্তা মো. শাহ-আলম সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাময়িক বরখাস্তকৃত মুখ্য কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন, সাভার শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাফতুন আহমদ, প্রাক্তন ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) বীরেন দাস এবং ব্যাংকের দুই গ্রাহক মনো প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্ত্বাধিকারী এ কে এম এ বাশার ও মিসেস হোসনে আরা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ১৫৭টি ডেবিট অ্যাডভাইসের বিপরীতে ফান্ডেড-ননফান্ডেড মিলিয়ে মোট ৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করে।

১৯৯০ সালের ১০ জুলাই কৃষি ব্যাংকের জোনাল কার্যালয় থেকে মনো প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক এ কে এম এ বাশার ও মিসেস হোসনে আরা তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়। ওই ঋণ বিধি মোতাবেক পরিশোধ করার পর পরই ২০১০ সালের ২১ জুন তাদের আবেদনের পরেপ্রেক্ষিতে বন্ধকী সম্পদের বিপরীতে ৬ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে কৃষি ব্যাংক সাভার শাখা। পরবর্তীতে সাভার শাখার প্রস্তাবে পণ্য বন্ধকী বাবদ মঞ্জুরীকৃত ২ কোটি টাকার বিপরীতে কৃষি ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক বানিজ্য বিভাগে মাদার এলসি খোলে আসামীরা। এরপর বেশ কয়েকধাপে ও ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড মিলিয়ে ১৫৭টি ডেবিট এডভাইসের সমপরিমাণ মোট ৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা উত্তোলন ও  আত্মসাৎ করে, যা ২০১৫ সালের ৩০জুন পর্য্ন্ত  সুদাসলসহ মোট ৬৩ কোটি ৪৩ টাকা হয়।  অভিযোগ বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

দুদক সূত্র আরো জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করে । মামলাটি  আমলে নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর দুদক তা তদন্ত করা সিদ্ধান্ত নেয়।