প্রিয় মাতৃভূমি নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই: শিবির সেক্রেটারি

0
557
blank
blank

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের অর্জন তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার। এ বিজয় বিশ্ব দরবারে এদেশের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সেই অর্জনকে ম্লান করে দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই আজ ভাষা দিবসের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে জুলুমবাজদের রুখে দিতে হবে।

তিনি বুধবার রাজধানীতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মহানগরী সভাপতি এস এম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি তোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক রাশেদুল ইসলামসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মোবারক হোসাইন বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ৫২’র মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আসে স্বাধীনতা যুদ্ধ। জাতির বীর সন্তানেরা রক্ত দিয়েই ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। ভাষা আন্দোলনের এ সফলতা শুধু বাংলাদেশের জন্য জন্য নয় বরং বিশ্ববাসীর জন্য এক মহাপ্রাপ্তি। ফলে ভাষা আন্দোলনের এ বিজয় আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু সেই বিজয়কে ব্যর্থ করে দিতে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। চলছে জাতিকে বিভক্ত করার ভয়ঙ্কর খেলা। একদলীয় বাকশাল কায়েমের চেষ্টা করা হচ্ছে। সারাদেশে গণহত্যা, খুন, গুম, হামলা, মামলা, নির্যাতনের শিকার দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযমের মতো প্রথম সারির ভাষা সৈনিককে অবিচার ও নির্যাতিত হয়ে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। অবিচারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে জাতির পরীক্ষিত সূর্য সন্তানদের।’

তিনি বলেন, ‘সেদিন দখলদার শক্তি পরাজিত হলেও সম্রাজ্যবাদী অপশক্তি বসে নেই। সম্ভাবনার এ দেশকে এদেশেরই নতজানুদের সহায়তায় গ্রাস করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে স্বার্থান্বেষী অপশক্তি। কিন্তু দেশ ও ইসলামবিরোধী এ ষড়যন্ত্র ইসলামপ্রিয় ছাত্র-জনতা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়নি। যার যার অবস্থানে থেকে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। আগামীতে দেশ ও ইসলামবিরোধী এবং জুলুমবাজদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ভাষা দিবসের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’

আলোচনা সভা শেষে ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমসহ ভাষার জন্য জীবন দেয়া সবার রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।