বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে: আইনমন্ত্রী

0
481
blank

ঢাকা : বহুল আলোচিত বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ’বৈষম্য বিলোপ আইন’-এর খসড়া প্রস্তুতের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে।

এ ছাড়া সব স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শিগশিরই ওই সভা অনুষ্ঠানের আলোকে আইনটির খসড়া প্রণয়নের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হবে। ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি কৌঁসুলিদের মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে এ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তবে তা বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও নির্ধারিত হয়নি।

সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা দেশে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতসমূহের ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯টি। তন্মোধ্য বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৩ হাজার, ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজারটি এবং অন্যান্য মামলার সংখ্যা ৯৭ হাজারটি। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ১৩ হাজারটি এবং অধঃস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লাখ ২৭ হাজারটি। বিচারাধীন মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীকে আইনগত সহায়তা প্রদানে সরকার ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করে। তিনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সর্বমোট ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪ জন বিচারপ্রার্থী জনগণ লিগ্যাল এইড সেবার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইন অনুসারে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।