রোহিঙ্গাদের আরো সহযোগিতা প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক

0
446
blank

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং শরণার্থীদের সহায়তা করতে বাংলাদেশের আরো সহযোগিতা প্রয়োজন। গতকাল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের প্রশংসা করে বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে। ডিক্সন বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বিশাল। যতদূর চোখ যায় শুধু দেখা যায় বাঁশ আর পলিথিন দিয়ে বানানো সারি সারি ঘর। পাহাড়ের বন উজাড় করে এ বাড়িগুলো বানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের অবকাঠামো ও পরিবেশের ওপর বিশাল চাপ ফেলছে। বর্ষা এলে অসুখ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় ডিক্সন রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি হওয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খাবার বিতরণ কেন্দ্র, শিশু কেন্দ্র, নারীদের উপযোগী জায়গা ইত্যাদি ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময়ে তাদের পাশে থেকে বাংলাদেশের মানুষ বড় মনের পরিচয় দিয়েছে। এ দেশের সরকার, জনগণ, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং দাতা সংস্থা সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তবে প্রয়োজনটা আরো অনেক বেশি। সরকার চাইলে রোহিঙ্গারা চলে যাওয়ার পরও স্থানীয় জনগণের পুনর্বাসনের সহযোগিতা করার কথা জানান ডিক্সন। এরপর বিশ্বব্যাংকের এই ভাইস প্রেসিডেন্ট কক্সবাজারে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং ত্রাণ সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম যোগ দিতে ঢাকা এসেছেন ডিক্সন। পাঁচদিনের সফর শেষে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেন, উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উদাহরণ। দেশটি এর দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা জনগণের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে এবং অন্যদের জন্যও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশ্বাস জানিয়ে ডিক্সন বলেন, ‘বাংলাদেশ আরেকটি রূপান্তরের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, একটি মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সব সাহায্য করতে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সহায়তা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত ৫ বছরে দেয়া সহায়তার দ্বিগুণেরও বেশি।