সিলেটে বড়গাং নদী পানিশূন্য ২০ হাজার বারকি শ্রমিক কর্মহীন

0
446
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ বালুমহাল সারী ও বড়গাং। দুটি নদীর উৎসকে কেন্দ্র করে উপজেলার সর্ববৃহৎ বালুমহালের সৃষ্টি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে হাজার হাজার শ্রমিক সারী ও বড়গাং নদী থেকে বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সরকার দুটি বালু মহাল থেকে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। সমপ্রতি এক রিসোর্ট মালিক নিজের ব্যবসা চাঙ্গা করতে এবং শ্রমিকদের কর্মহীন করতে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য উচ্চ আদালতে মামলা করে। ফলে কর্মহীন হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করেছ প্রায় ২০ হাজারের অধিক বারকী শ্রমিক ও তাদের পরিবার।

অপরদিকে বালু ভরাট হওয়ায় পানিশূন্য হয়েছে বড়গাং নদী, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে। জীবন বাঁচাতে প্রতিবাদমুখী হয়েছে শ্রমিক পরিবারগুলো। বৃহস্পতিবার রাতে সারী নদীর উৎস মুখ লালখাল রিসোর্ট সেন্টারের সম্মুখে বৃহত্তর সারী নৌকা মালিক সমিতির ডাকে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বারকী শ্রমিক সংগঠনগুলো। নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং আব্দুর রকিবের পরিচালনায় শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস শুক্কুর, শামীম আহমদ, বালতি শ্রমিক সমিতির সভাপতি আমির আলী, সাধারণ সম্পাদক নজির আহমদ, নৌকা মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, এখানকার সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার পর হতে সারী ও বড়গাং বালু মহালে বালু উত্তোলন করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা অর্জন করে আসছে। তিনি রিসোর্ট করার পর নিজের ব্যবসা চাঙ্গা করতে মাহামান্য উচ্চ আদালতে বালু উত্তোলন না করার জন্য একটি মামলা করেন। ফলে এই অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজারের অধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে বালু ভরাট হয়ে বড় নয়াগাং নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ে নদীর জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে বিরান ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বালু না সরানোর ফলে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে কয়েক হাজার ফসলি জমি ধু-ধু বালু হয়ে উঠেছে। অপরদিকে বালু মহাল হতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সরকারের উচ্চ মহলের কাছে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে শ্রমিক ও পরিবেশ রক্ষার জোর দাবি জানাই। অন্যথায় শ্রমিক ও এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।