আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

0
470
blank
blank

ডেস্ক রিপোর্ট:  দেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্তকরণ ও বেলুন উড়ানো, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আজ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে দলটি। এদিন সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্তকরণ ও বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় দলটির সভাপতিমন্ডলী সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে কিছুক্ষণের জন্য সেখানে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর দলীয় সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ওবায়দুল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও সতীশ চন্দ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, উপ প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহি সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গনে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দেশে যে জঙ্গি হামলা হচ্ছে তা যাতে খুব শিগগিরই বন্ধ হয়ে যায়- এমন কঠোর ব্যবস্থাই নিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, গুপ্ত হত্যাকারীদের রক্ষা করতে এবং নিজের হতাশা থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছেন। সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সন্ত্রাস নির্মূল করা হবে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউসহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী শুরু হয়। দলটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও আশপাশের রাস্তায় এসে ভিড় জমান। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে স্থান ত্যাগ করার পরই দলটির সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীমসহ সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলমের নেতৃত্বে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সভাপতি একে এম রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের নেতৃত্বে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে আওয়ামী যুবলীগ, সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগ, মোতাহার হোসেন মোল্লা ও অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজার নেতৃত্বে কৃষক লীগ, সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগ, সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার তারেক রায়হানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ বঙ্গববন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এছাড়াও মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে সর্বদলীয় কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যদিও প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলটির নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৫ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। নতুন নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে পরিচিতি লাভ করে।